আবারও উত্তর পূর্বের রাজ্যে কংগ্রেসের বড় ভাঙন। কংগ্রেস নেতা মুকুল সাংমা কমপক্ষে ১২ জন বিধায়ক নিয়ে দল ছাড়ছেন। এমনটাই সূত্রের খবর। এর ফলে মেঘালয় কংগ্রেস বিধায়ক সংখ্যা কমে দাঁড়াবে ৬। সে রাজ্যে কংগ্রেস ১৮ বিধায়ক নিয়ে প্রধান বিরোধী পদ সামলাচ্ছে। তবে সাংমা তৃণমূলে ১২ বিধায়ক নিয়ে তৃণমূলে যোগ দিলে আগামী দিন প্রধান বিরোধী দলের তকমা পাবে।
প্রসঙ্গত, সুস্মিতা দেবের পর মুকুল এমন একজন নেতা তৃণমূলে যোগ দিতে চলেছেন, যাঁর উত্তর-পূর্বে জনভিত্তি রয়েছে। স্থানীয় সূত্রে খবর, সেপ্টেম্বর মাসে বিরোধী গোষ্ঠীর নেতা হিসেবে পরিচিত লোকসভার সাংসদ ভিনসেন্ট পালাকে মেঘালয় প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি করা হয়। তার পর থেকেই মুকুলের ক্ষোভ বাড়তে থাকে। এর পরই তৃণমূলে যোগাযোগ বাড়তে থাকে। কলকাতায় এসে তৃণমূলের সর্ব ভারতীয় সাধারন সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে গভীর রাতে বৈঠকও সারেন সাংমা। তাঁর ঘনিষ্ঠ মহল সূত্রে এমনটাই দাবি করা হয়েছিল। তারপর থেকেই রাজনৈতিক জল্পনা বাড়ছিল।
এবার জল্পনা উড়িয়ে সেই খবরে সিলমোহর পড়তে চলেছে। উল্লেখ্য, ২০০৪ সালের লোকসভা ভোটের আগে মেঘালয়ের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা লোকসভার প্রাক্তন স্পিকার পি এ সাংমা এনসিপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেন। সে বছর লোকসভা ভোটে তৃণমূলের টিকিটে জেতেন তিনি। তাই তৃণমূলে যোগদান নতুন কিছু নয় মেঘালয় রাজনীতিতে। তবে বিরোধী দলের আসন বড় পাওয়া হবে।
২০১০ থেকে ২০১৮ পর্যন্ত মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন মুকুল। বর্তমানে তিনি ওই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। পূর্ব গারো পাহাড়ের প্রভাবশালী নেতা মুকুল দল ছাড়লে মেঘালয়ে কংগ্রেসের বড় ক্ষতি হবে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন