বর্তমান আর্থিক বছরে ১৫টি খনিজ ব্লকের নীলাম বাতিল করা হয়েছে, এবং ৩২টি খনি সফলভাবে বিক্রি করা হয়েছে। যেসব খনির নীলাম বাতিল করা হয়েছে, তাদের মধ্যে পাঁচটি চুনাপাথর ও ম্যাঙ্গানিজ ব্লক, দুটি করে বক্সাইট ও ফসফরাইট ব্লক এবং একটি সোনার খনি।
কেন্দ্রীয় খনি মন্ত্রকের সূত্র অনুসারে, ৭ জুন, ২০২২ পর্যন্ত ২০২৩ আর্থিক বছরে খনিজ ব্লকগুলির নিলামের ক্ষেত্রে যে ১৫টি ব্লকের নীলাম বাতিল করা হয়েছে তার মধ্যে ১১টি মধ্যপ্রদেশে এবং ২টি ছত্তিশগড় এবং উত্তর প্রদেশে রয়েছে। যদিও কেন এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে সে বিষয়ে কোনও কারণ জানানো হয়নি।
নীলামে ৩২টি ব্লকের মধ্যে ১০টি ম্যাঙ্গানিজ, ৮টি চুনাপাথর, ৭টি লোহা আকরিক, ৫টি বক্সাইট এবং ১টি করে গ্রাফাইট এবং ফসফরাইট।
মধ্যপ্রদেশে মোট ১০টি খনিজ ব্লক, অন্ধ্র প্রদেশে ৮টি, ছত্তিশগড় এবং কর্ণাটকে ৪টি করে, মহারাষ্ট্র ও ওড়িশায় ২টি এবং রাজস্থান ও উত্তর প্রদেশে ১টি করে খনিজ ব্লক নীলাম করা হয়েছে। ২০২১-২২ আর্থিক বছরে মোট ৪৬টি খনিজ ব্লক সফলভাবে বিক্রি করা হয়।
গত সাত বছরে, সরকার জাতীয় নীতির লক্ষ্য অর্জনে এর অবদান নিশ্চিত করতে খনিজ ক্ষেত্রকে উন্মুক্ত করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার চালু করেছে। যে সংস্কারের মধ্যে রয়েছে খনি ও খনিজ (উন্নয়ন ও প্রবিধান) (এমএমডিআর) (সংশোধন) আইন, ২০১৫, যা রাজ্য সরকারের সক্রিয় অংশগ্রহণের সাথে সাধারণের জন্য উন্মুক্ত নীলাম প্রবর্তনের মাধ্যমে খনিজ ছাড় বরাদ্দের প্রক্রিয়াটিকে সম্পূর্ণ স্বচ্ছ করে তুলেছে।
ফেডারেল সেট-আপে, রাজ্যগুলি তাদের নিজ নিজ অঞ্চলে খনিজ সম্পদের মালিক। খনিজ সম্পদের সুবিধা উপলব্ধি করার জন্য, উৎপাদন শুরু করার জন্য নীলামযোগ্য খনিজ ব্লকগুলির নীলামের ক্ষেত্রে রাজ্যগুলির প্রাথমিক এবং গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।
খনি মন্ত্রক এর আগে জানিয়েছিলো খনিজ নীলাম বিধিতে সংশোধনী প্রতিযোগিতাকে উত্সাহিত করবে, যা ব্লক বিক্রিতে আরও অংশগ্রহণ নিশ্চিত করবে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন