গত ১৬ বছরে মোরাদাবাদের দুই থানা থেকে প্রায় ৩২ জন শিশুকন্যা নিখোঁজ হয়েছে। যদিও পুলিশ এইসব ঘটনার মামলা নথিভুক্ত করতে ভুলে যাওয়ায় তদন্ত এগোয়নি। দীর্ঘদিন ধরে এই ৩২ জনের স্বজনরা থানায় থানায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন।
এই ৩২ জন নিখোঁজের মধ্যে ১১টি শিশু রয়েছে, যাদের বয়স চার মাস থেকে পাঁচ বছর। এমন শিশুদের খোঁজে জেলার মানবপাচার বিরোধী থানাও অভিভাবকদের কোনও সাহায্য করতে পারেনি। সংলগ্ন ২০টি থানা এলাকার মধ্যে মাঝোলা ও কাটঘর থানা এলাকা থেকেই সবচেয়ে বেশি শিশু-কন্যা নিখোঁজ হয়েছে।
তিন বছর আগে মানথের বাঘা গ্রামের এক মহিলার শিশুসন্তান ঘুমন্ত অবস্থায় রোডওয়েজ বাসস্ট্যান্ড থেকে চুরি হয়। সিসিটিভি ফুটেজে শিশুটিকে অপহরণকারী দম্পতির ছবি দেখা গেলেও তাকে উদ্ধার করতে পারেনি গলশহিদ থানার পুলিশ।
অভিযোগ, শিশু অপহরণের আখড়ায় পরিণত হয়েছে রেলস্টেশন ও বাসস্ট্যান্ড। এছাড়া কিছু হাসপাতালেও শিশু চুরির ঘটনা ঘটেছে।
৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২২ কুন্দরকি থানা এলাকার বাহাপুর গ্রামের বাসিন্দা রাজেশ কুমারের আড়াই বছরের মেয়ে ন্যান্সি বাড়ির সামনে থেকে নিখোঁজ হয়। এখনও পর্যন্ত পুলিশ তার কোনও হদিস করতে পারেনি।
শিশুকন্যাদের অপহরণ ছাড়াও ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২২-এ, পাঁচ বছরের অয়নও পাকবাদা থানা এলাকায় বাড়ির সামনে থেকে নিখোঁজ হয়। তার সম্পর্কেও এখনও কোনো তথ্য পায়নি পুলিশ।
২০২২ সালের অক্টোবরে কোতোয়ালি থানা এলাকার স্টেশন রোড থেকে রিকশাচালক তসলিমের ছয় মাসের ছেলে আরমানকে কেউ অপহরণ করে। পুলিশও এখনও তার সম্পর্কে কিছু জানতে পারেনি।
১৬ জুলাই, ২০২১-এ, স্টেশনের সামনে একটি ঝুপড়িতে থাকা বিলারির মকরন্দপুর গ্রামের বাসিন্দা পাপ্পুর ছেলে কালুয়াকে এক মহিলা তুলে নিয়ে যায়। পুলিশ তারও কোনও সন্ধান দিতে পারেনি।
সিনিয়র পুলিশ আধিকারিকরা এই বিষয়ে মন্তব্য করতে অস্বীকার করেছেন এবং জানিয়েছেন তাদের আরও তথ্য সংগ্রহ করতে হবে। পুলিশ মুখপাত্র জানিয়েছেন, বেশিরভাগ ক্ষেত্রে তদন্ত চলছে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন