গুজরাট প্রদেশ কংগ্রেসের কার্যকারী সভাপতি তথা বিধায়ক জিগনেশ মেভানিকে ৬ মাসের কারাদণ্ড দিল আহমেদাবাদের মেট্রো পুলিশ আদালত। শুধু তাই নয়, জিগনেশের ১৮ জন সহযোগীকেও একই সাজা দিয়েছে আদালত।
জানা যাচ্ছে, ২০১৬ সালে গুজরাট বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন ভবনের নামকরণ ডাঃ বিআর আম্বেদকরের নামে করার দাবিতে বিক্ষোভ দেখান জিগনেশ সহ দলিত অধিকার গোষ্ঠীর একাধিক সদস্য।
অভিযোগ, এ সময় তাঁরা বেআইনি সমাবেশ এবং দাঙ্গা-হাঙ্গামা করেন। তাঁদের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয় থানায় মামলা দায়ের করা হয়। পুরানো সেই মামালায়, শুক্রবার জিগনেশ সহ মোট ১৯ জনকে কারাদন্ড দিয়েছে আদালত।
চলতি বছরের শেষেই গুজরাটে বিধানসভা নির্বাচন। তার মাত্র কয়েক মাস আগে জিগনেশ মেভানিকে কারাদণ্ডের জেরে জোর ধাক্কা খেল কংগ্রেস।
তবে জানা যাচ্ছে, এখনই জিগনেশ সহ অন্যান্যদের কারাদণ্ড হচ্ছে না। আদালতের এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করার সুযোগ রয়েছে জিগনেশদের সামনে। রায়ের বিরুদ্ধে তাঁদের আবেদন করার সময় দেওয়ার জন্যই, কারাদণ্ডের সাজা ১৭ অক্টোবর পর্যন্ত স্থগিত রেখেছেন বিচারক।
উল্লেখ্য, বিজেপি শাসিত রাজ্যে জিগনেশের বিরুদ্ধে মামলা এই প্রথম নয়। গত এপ্রিল মাসে, বিজেপি বিরোধী ট্যুইটের জন্য গুজরাটের পালানপুর শহর থেকে গভীর রাতে তাঁকে গ্রেপ্তার করেছিল আসাম পুলিশ। যা নিয়ে কম বিতর্ক হয়নি। বর্তমানে সেই মামলায় জামিনে রয়েছেন জিগনেশ।
এছাড়া, চলতি বছরের মে মাসে মেভানিকে তিন মাসের কারাদণ্ড দিয়েছে গুজরাটের একটি আদালত। ২০১৭ সালে পুলিশ অনুমতি ছাড়াই সমাবেশ করার অভিযোগে জিগনেশ সহ একাধিক ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছিল গুজরাট পুলিশ। সেই মামলায় জিগনেশ মেভানি, রেশমা প্যাটেল, জাতীয় দলিত অধিকার মঞ্চের কৌশিক পারমার, সুবোধ পারমার সহ আরও ১০ জনকে তিন মাসের কারাদণ্ড এবং এক হাজার টাকা জরিমানা করেছিল আদালত।
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালে দলিত নেতা হিসেবে রাজনীতির ময়দানে উত্থান ঘটে জিগনেশের। নির্দল বিধায়ক নির্বাচিত হন তিনি। দু’বছর পর, ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে কংগ্রেসে যোগ দেন তিনি।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন