কেন্দ্রীয় সরকারের নয়া নিয়মে ভবিষ্যত অনিশ্চিত হয়ে গেল কোটি কোটি শ্রমিকের। যাঁরা সকলেই রেগা প্রকল্পের আওতায় কাজ করেন। নতুন নিয়মে অনুযায়ী যেসব শ্রমিকের নাম আধার বেস পেমেন্ট সিস্টেমের মধ্যে আছে কেবলমাত্র তাঁরাই মজুরি পাবেন।
নতুন বছরের প্রথম দিন থেকে চালু হয়েছে রেগা প্রকল্পে কর্মরত শ্রমিকদের নয়া মজুরি পদ্ধতি। জানা যাচ্ছে এই প্রকল্পে ২৫ কোটির বেশি শ্রমিক কাজ করেন। যার মধ্যে আধার বেস পেমেন্ট সিস্টেমে নাম নথিভুক্ত আছে ১৭ কোটির বেশি। বাকি ৬ কোটির বেশি শ্রমিকের নাম নেই ওই তালিকায়। ফলে তাঁরা মজুরি কীভাবে পাবেন তা নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়েছে। ওই শ্রমিকরা এখন কী করবেন তা কারুর জানা নেই।
এই ঘটনার পর কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছে বিরোধী দলগুলি। তাদের অভিযোগ, মোদী সরকার ইতিমধ্যেই রেগা প্রকল্পে ৩৩ শতাংশ বরাদ্দ কমিয়েছে। তার মধ্যে এই কোটি কোটি শ্রমিকের মজুরি বন্ধ হয়ে গেলে তারা খাবে কী?
সিপিআইএম পলিটব্যুরোর পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, "আগে সরকার রেগায় অনলাইনে নাম নথিভুক্তিকরণের শর্ত চাপিয়ে দিয়েছিল। গ্রামীণ ভারতের বড়ো অংশে ইন্টারনেট সংযোগ অত্যন্ত দুর্বল বলে কাজের জায়গায় উপস্থিত শ্রমিকদের অনেকেই তা করাতে পারেননি। তখন থেকে অনলাইন নথিভুক্তিকরণ ছাড়া শ্রমিকদের মজুরি দেওয়া হচ্ছে না। জাতীয় গ্রামীণ কর্মসংস্থান নিশ্চয়তা আইনের উপর এ এক সর্বাত্মক আক্রমণ।"
নতুন নিয়ম অনুসারে আধারের সাথে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট লিঙ্ক থাকতে হবে। তা না হলে শ্রমিকরা মজুরি পাবেন না। গত বছরই নয়া নিয়ম চালুর জন্য রাজ্যগুলিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু পুরো প্রক্রিয়া চালু না করায় গত বছর নতুন পদ্ধতি চালু করতে পারেনি কেন্দ্র। রাজ্যগুলি থেকেও প্রচুর শ্রমিকের নাম বাদ যায় রেগা তালিকা থেকে।
কংগ্রেস মুখপাত্র জয়রাম রমেশ বলেন, 'নতুন বছরে প্রধানমন্ত্রী নিষ্ঠুর উপহার দিলেন শ্রমিকদের। গরিব মানুষগুলির সামান্য আয়টুকুও কেড়ে নেওয়ার ব্যবস্থা করলেন তিনি'।
তিনি আরও বলেন, গত বছরই কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকের তরফ থেকে জানানো হয় রেগা প্রকল্প থেকে কারুর নাম বাদ দেওয়া হবে না। কিন্তু এখন তার উল্টো কাজ করা হলো। কেন্দ্রীয় সরকার কেন দু'রকম কথা বলছে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন