কেন্দ্রের তিন কৃষি আইনের বিরোধিতা করছেন কৃষকরা। তা আসলে চিন্তার অসততা ও রাজনৈতিক ধোঁকাবাজি বলে কটাক্ষ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। একটি ম্যাগাজিনে সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, আগে এই ধরনের সংস্কারই চাওয়া হয়েছিল। কিন্তু যখন আমরা সেটা করলাম, তখন তার বিরোধিতা করা হচ্ছে।
কৃষকদের বিরোধিতা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমরা বারবার তাদের সঙ্গে আলোচনা করেছি। কিন্তু তাঁরা কখনও বলতে পারেননি যে এই বিষয়ে পরিবর্তন করা দরকার। কোনও নির্দিষ্ট বিষয়ে তাঁরা আপত্তি জানাননি।
প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য প্রসঙ্গে কৃষক নেতা হান্নান মোল্লা বলেন, এর আগে এমন মিথ্যাচারী প্রধানমন্ত্রী দেশবাসী দেখেননি। কুড়ি বছরের ওপর কৃষকরা আন্দোলন করছেন ন্যূনতম সহায়ক মূল্যের নিশ্চয়তা দাবি করে। সেই আইন আজও হয়নি। এই সরকারও তা করতে চাইছে না। উল্টো মোদি সরকার যে আইন এনেছে, তা কৃষক বিরোধী, দর্শন হল কর্পোরেট মুখী। কৃষককে জবরদস্তি ব্যাপারী বানানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। এগুলো আসলে কোনও কৃষি আইনই নয়, ব্যবসায়িক আইন। আইনে সংশোধনী কিছু অর্থ থাকে। কিন্তু এই আইনে কিছুই নেই।
কৃষক নেতার অভিযোগ, ধোঁকাবাজি তো করছে কেন্দ্রই। এফসিআইয়ের গুদাম বন্ধ করে আদানির গুদাম তৈরি করা হচ্ছে। ফসল কেনার সরকারি ব্যবস্থা লাটে তুলে কর্পোরেটের হাতে তুলে দেওয়া হবে। কৃষককে গোলাম বানানো হবে। মোদি সরকার গত জানুয়ারির পর একবারও কৃষকদের সঙ্গে আলোচনায় বসেননি।
ওই ম্যাগাজিনে সাক্ষাৎকারে মোদি বলেছেন, আমি সমালোচকদের পছন্দ করি। কিন্তু সমালোচক কোথায়। সবাই অভিযোগ করেন। কিন্তু সমালোচনা কেউ করে না। প্রসঙ্গত, প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর তিনি একটিও সাংবাদিক সম্মেলন করেননি, যেখানে প্রশ্নোত্তর পর্ব চলে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন