শুক্রবার সকালে প্রধানমন্ত্রী তিনটি কৃষি আইন আকস্মিকভাবে প্রত্যাহার করেন। আকস্মিক সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েও কিছুটা সাবধানী সারা ভারত কৃষক সভা (AIKS), তাঁরা বলছেন ‘অপেক্ষা করা হবে’ যতক্ষণ না সংসদে এই আইন আনুষ্ঠানিকভাবে প্রত্যাহার করা হয় এবং রাষ্ট্রপতি স্বাক্ষর করেন।
সারা ভারত কৃষক সভার সাধারণ সম্পাদক হান্নান মোল্লা সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন - “আমাদের অতীতে খারাপ অভিজ্ঞতা হয়েছে। মোদি ২০১৪ সালে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন যে ‘ভূমি অধিগ্রহণ আইন’ বাতিল করা হবে। আজ পর্যন্ত তা বাস্তবায়িত হয়নি।”
মোদির ঘোষণার কারণ ব্যাখ্যা করে হান্নান মোল্লা বলেন, “নরেন্দ্র মোদি হয়তো ট্রাম্প এবং বিডেনকে (মার্কিন রাষ্ট্রপতি) বুঝতে পেরেছিলেন, কিন্তু ভারতীয় কৃষককে বুঝতে ব্যর্থ হয়েছেন।” আরও বলেন, কেন্দ্রীয় সরকারের এই সিদ্ধান্তে তিনি মোটেও অবাক হননি, এমন সিদ্ধান্তের আশাই তিনি করেছিলেন।
কৃষক আন্দোলন চলাকালীন প্রায় ৭০০ জন কৃষকের মৃত্যুর জন্য তিনি সম্পূর্ণ দায়ী করেছেন প্রধানমন্ত্রীকে। তাঁর কথায় –“আইন প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্ত বিলম্বের কারণে এই মৃত্যু হয়েছে”। পাশাপাশি তিনি বলেন - “আমাদের আন্দোলন শেষ হয়েছে এই ভাবনা সঠিক নয়। কারণ কৃষকদের আন্দোলন দুটি দাবিতে শুরু হয়েছিল-তিনটি খামার আইন প্রত্যাহার এবং এমএসপি গ্যারান্টির জন্য একটি নতুন আইন আনা।”
হান্নান মোল্লা ছাড়াও সাংবাদিক সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন AIKS সভাপতি অশোক ধাওয়ালে, যুগ্ম সচিব এন কে শুক্লা এবং বিজু কৃষ্ণান, অর্থ সম্পাদক পি কৃষ্ণপ্রসাদ, অল ইন্ডিয়া এগ্রিকালচারাল ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের (এআইএডব্লিউইউ) সাধারণ সম্পাদক বি ভেঙ্কট এবং যুগ্ম সম্পাদক বিক্রম সিং।
ধাওয়ালে বলেন - কৃষি আইন প্রত্যাহার করার সাথে সাথে, সরকারের উচিৎ ৪৪টি শ্রম কোডকে ৪টি শ্রম কোডে পরিণত করা বাতিল করা। পেট্রোল, ডিজেল সহ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম কমানো। সর্বোপরি সরকারি সংস্থাগুলিকে বিক্রি করা বন্ধ করুক।”
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন