জম্মু ও কাশ্মীরের বিধানসভা নির্বাচনে লোকসভা ভোটের থেকেও বড় বিপর্যয় হবে বিজেপির। সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সমালোচনা করে এমনটাই দাবি করলেন কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ।
আগামী ১ অক্টোবর জম্মু ও কাশ্মীরে তৃতীয় দফা তথা শেষ দফার নির্বাচন। তৃতীয় দফার জন্য ভোট প্রচারের শেষ দিনে বিজেপিকে তীব্র আক্রমণ করলেন কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ। তিনি বলেন, "জম্মু ও কাশ্মীরে নির্বাচনী প্রচার এখন শেষ। কিন্তু নন-বায়োলজিক্যাল প্রধানমন্ত্রী এখনও সবচেয়ে মৌলিক প্রশ্নের উত্তর দেননি: কেন তিনি জম্মু ও কাশ্মীরকে পূর্ণ রাজ্যের মর্যাদা ফিরিয়ে দিতে ব্যর্থ হয়েছেন?"
ওই কংগ্রেস নেতা আরও লেখেন, তিনি (নরেন্দ্র মোদী) এখন বিভ্রান্তিকর দাবি করছেন। তিনি বলছেন শুধুমাত্র বিজেপিই পারে জম্মু ও কাশ্মীরে পূর্ণ রাজ্যের মর্যাদা ফিরিয়ে আনতে। কিন্তু জম্মু ও কাশ্মীরের থেকে রাজ্যের তকমা ছিনিয়ে নেওয়ার কোনও দায় নিচ্ছেন না। আসলে জবাবদিহিতা থেকে নিজেকে দূরে সরিয়ে রাখতে চেয়েছেন। ৫ আগস্ট, ২০১৯-এ সংসদে এই বিষয়ে ভাষণ দিতে গিয়েও তিনি ব্যর্থ হন। তিনি এই বিষয়ে সারা দেশে ৪১টি আগে থেকে তৈরি করা সাক্ষাৎকার দিলেও জম্মু ও কাশ্মীরে একটিও সাক্ষাৎকার দেননি।
পাশাপাশি জয়রাম রমেশ জানান, প্রধানমন্ত্রী নিজেকে জনগণের কাছে জবাবদিহিতার ঊর্ধ্বে মনে করেন। এবার, তাঁকে ৪ জুন, ২০২৪-এ যে হারের মুখোমুখি হতে হয়েছিল তার থেকে বহুগুণ বড় পরাজয়ের মুখোমুখি হতে হবে।
অন্যদিকে জম্মুর মৌলানা আজাদ স্টেডিয়ামের এক সভাতে নরেন্দ্র মোদী দাবি করেন, এই ভোট ঐতিহাসিক জনমত দিতে চলেছে। জম্মুর মানুষের কাছে সুযোগ রয়েছে তাদের নিজের সরকার বেছে নেওয়ার। এটা স্পষ্ট যে বিজেপি প্রথমবার সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে জম্মু ও কাশ্মীরে নিজেদের সরকার গড়বে।
জম্মু ও কাশ্মীরে তৃতীয় তথা শেষ দফায় ৭ জেলার ৪০ আসনে ভোটগ্রহণ হবে। যেসব জেলার মধ্যে আছে জম্মু, উধমপুর, সাম্বা, কাঠুয়া, বারামুলা, বান্দিপোরা এবং কুপওয়ারা। এই আসনগুলিতে ভোটগ্রহণ হবে আগামীকাল ১ অক্টোবর। ভোটগণনা হবে আগামী ৮ অক্টোবর।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন