বর্ষবরণের আগে শনিবার নবনির্মিত অযোধ্যা স্টেশন থেকে ২ টি অমৃত ভারত ও ৬ টি বন্দে ভারত ট্রেনের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বাংলাও পেল একটি নয়া অমৃত ভারত এক্সপ্রেস।
শনিবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী অযোধ্যায় যান নবনির্মিত স্টেশন অযোধ্যা ধাম উদ্বোধনের জন্য। সেখান থেকেই সবুজ পতাকা উড়িয়ে অমৃত ভারত ও বন্দে ভারত ট্রেনের উদ্বোধন করলেন তিনি। এদিন একসঙ্গে অযোধ্যা ও মালদা থেকে চাকা গড়ালো অমৃত ভারত ট্রেনের।
বহু প্রতিক্ষীত এই অমৃত ভারত ট্রেন দুটির একটা ছুটবে দ্বারভাঙ্গা-অযোধ্যা-দিল্লির আনন্দ বিহার টার্মিনালের মধ্যে দিয়ে। অন্য আর একটি চলবে মালদা টাউন- বেঙ্গালুরুর স্যার এম. বিশ্বেশ্বরাইয়া টার্মিনাল পর্যন্ত। অর্থাৎ প্রথম দুটি অমৃত ভারত এক্সপ্রেসের মধ্যে একটি পেল বাংলা।
এদিন ৬ টি বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী। এই ৬ টি ট্রেনের রুট হিসেবে রয়েছে, শ্রীমাতা বৈষ্ণো দেবী কাটরা- নয়াদিল্লি, কোয়েম্বাটুর- বেঙ্গালুরু, জালনা- মুম্বই, অযোধ্যাধাম জংশন- দিল্লি (আনন্দ বিহার টার্মিনাল), ম্যাঙ্গালুরু- মাদগাঁও এবং অমৃতসর- দিল্লি। শনিবার নতুন ৬টি বন্দেভারতের ফলে এখন দেশজুড়ে বন্দে ভারত ট্রেনের সংখ্যা হল ৪০ টি।
নয়া এই অমৃত ভারত ট্রেনে আছে অনেক অত্যাধুনিক ব্যবস্থা। যাত্রীদের সুবিধার জন্য তৈরি করা হয়েছে পুস-পুল ব্যবস্থা। এছাড়াও যাত্রীদের সুবিধার জন্য রয়েছে অত্যাধুনিক সিট। ট্রেনটিতে বিশেষ ভাবে সক্ষম ব্যক্তিদের কথা মাথায় রেখে বিশেষ টয়লেটের ব্যবস্থা করা হয়েছে। পা দিয়ে সুইচ টিপেই এই টয়লেটে জলের ব্যবস্থা করতে সক্ষম হবেন বিশেষ ভাবে সক্ষম ব্যক্তিরা।
এ দিন অমৃত ভারত এক্সপ্রেসের উদ্বোধনের সময় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ, রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব-সহ রেলের একাধিক পদাধিকারী ৷ যে স্টেশনে দাঁড়িয়ে এই উদ্বোধন হল, সেই অযোধ্যা ধাম স্টেশনটিকে নতুন করে সাজাতে খরচ হয়েছে প্রায় ২৪০ কোটি টাকা৷
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন