ভোটের আগে কংগ্রেসের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা ছিনতাইয়ের অভিযোগ তুললেন সোনিয়া গান্ধী, রাহুল গান্ধী, মল্লিকার্জুন খাড়্গেরা। বৃহস্পতিবার দুপুরে সাংবাদিক বৈঠক করে সরাসরি বিজেপির বিরুদ্ধে ‘রাজনৈতিক প্রতিহিংসা’র অভিযোগ তুললেন কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্বরা।
এদিন কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী মোদী সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে বলেন, ‘‘লোকসভা ভোটের আগে পরিকল্পিত ভাবে এমন পদক্ষেপ করা হচ্ছে। এই ঘটনা শুধু কংগ্রেসের উপর নয়, দেশের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার উপরেও জঘন্য আঘাত।’’
অন্যদিকে, রাহুলও একই ভাষায় বিজেপিকে আক্রমণ করে বলেন, ‘‘দেশে আজ গণতন্ত্র নেই। কংগ্রেসের বিরুদ্ধে এই পদক্ষেপ আদতে মোদী-শাহের অপরাধমূলক গতিবিধি।’’ এদিনের সাংবাদিক বৈঠকে খাড়্গের আবেদন, ‘‘সত্যই যদি দেশে অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন চান, তা হলে আমাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করার অনুমতি দিন।’’
উল্লেখ্য, ২০১৮-১৯ অর্থবর্ষে আয়কর সংক্রান্ত অনিয়মের জন্য ১০৫ কোটি টাকা এবং ৩০ কোটি টাকা সুদ-সহ মোট ১৩৫ কোটি টাকা কংগ্রেসের কাছে তাদের প্রাপ্য বলে জানিয়েছিল আয়কর বিভাগ। এরপরেই এই মামলায় বিচার বিভাগীয় হস্তক্ষেপ চেয়ে দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল কংগ্রেস।
যদিও তাদের এই আবেদন খারিজ করে দেওয়া হয়। আদালত নির্দেশ দেয়, আয়কর দপ্তরের কাজে হস্তক্ষেপ করবে না আপিল ট্রাইব্যুনাল। এরপরেই কংগ্রেসের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়, আয়কর দফতর নিয়ম-বহির্ভূত ভাবে তাদের ওই ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টগুলি থেকে জরিমানা হিসাবে ১০৫ কোটি টাকা কেটে নিয়েছে। আর এই নিয়েই এদিন বিজেপির বিরুদ্ধে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার অভিযোগ করছে কংগ্রেস।
এ প্রসঙ্গে বৃহস্পতিবার সনিয়া বলেন, ‘‘কংগ্রেসকে আর্থিক ভাবে পঙ্গু করার চেষ্টা চালাচ্ছেন মোদী।’’
উল্লেখ্য, গত ১৬ ফেব্রুয়ারী কংগ্রেসের কোষাধ্যক্ষ অজয় মানেক প্রথম সাংবাদিক বৈঠক করে অভিযোগ তুলেছিলেন, যুব কংগ্রেসের সমস্ত ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করে দিয়েছে আয়কর দপ্তর। আয়কর অনিয়মের জন্য ২১০ কোটি টাকা জরিমানাও চাওয়া হয়েছিল। সেসময় কংগ্রেসের চারটি অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করে দেওয়া হয়েছিল।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন