রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের বিপুল অনাদায়ী ঋণের মধ্যে ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপিদের সংখ্যা ক্রমেই বেড়ে চলেছে। সংসদে অর্থমন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী পঙ্কজ চৌধুরীর প্রশ্নের জবাবে এরকমই তথ্য জানা গিয়েছে। মোদি জমানায় ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপিদের নামে চলছে কর্পোরেটের বেপরোয়া লুট। এমনটাই অভিযোগ বিরোধীদের। ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপিদের একটা বড় অংশই হল কর্পোরেট সংস্থা। সেই ইচ্ছাকৃত ঋণ খেলাপিদের ঋণ মকুব করেছে কেন্দ্র। তাদের ঋণ মকুবের পরিমাণ ৬৮ হাজার কোটি টাকারও বেশি।
২০১৯ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপিদের সংখ্যা ছিল ২২২১ জন। ২০২০ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত সেই সংখ্যা দাঁড়ায় ২৪৩২ জনে। এক বছরে সংখ্যা বেড়েছে ২১১ জন। গড়ে ৫০ কোটি টাকা ঋণ ধরলে মোট ঋণের পরিমাণ দাঁড়ায় প্রায় এক লক্ষ কোটি টাকা।
দেখা গেছে, মোদি সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের অনাদায়ী ঋণের পরিমাণ বেড়ে গেছে। স্টেট ব্যাংকের ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপির যে তালিকা প্রকাশিত হয়েছে, তাতে দেখা গেছে, ২০২০ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত মোট ১৫২৮ জন ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপির অনাদায়ী ঋণের পরিমাণ হল ৫৩ হাজার ৮০৬ কোটি টাকা। পাশাপাশি মোদি আমলেই ব্যাংকের ঋণে জালিয়াতির ঘটনা বেড়েছে। মোদি জমানায় ব্যাংক ঋণ লোপাট করে স্বাচ্ছন্দ্যে বিদেশে পালিয়েছে ৩৮ জন কর্পোরেট।
মোদির আমলে যাদের ঋণ মুকুব করে দেওয়া হয়েছে, তারা অনেকেই যথেষ্ট পরিচিত। তাদের ঋণ মকুবের টাকার পরিমাণ যথেষ্ট বেশি। প্রসঙ্গত, আরটিআইয়ের জবাবে ৫০ জন ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপির নাম ঘোষণা করেছে রিজার্ভ ব্যাংক। যদিও কেন্দ্র তা প্রকাশ না করতে উদ্যোগ নিয়েছিল।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন