বার্নালা মহাপঞ্চায়েতে দুই লক্ষাধিক কৃষকের জমায়েত, আরো জোরদার হচ্ছে কৃষি আইন বাতিলের দাবি

২৬ জানুয়ারি সহিংসতা মামলায় দিল্লি পুলিশ আপনাদের যে নোটিস পাঠিয়েছে, ওই নোটিসগুলো পুড়িয়ে দিন বা ছিঁড়ে ফেলুন, বলেন বিকেইউ সভাপতি যোগীন্দর সিং উগ্রাহন।
বার্নালা মহাপঞ্চায়েতে দুই লক্ষাধিক কৃষকের জমায়েত, আরো জোরদার হচ্ছে কৃষি আইন বাতিলের দাবি
গোবিন্দ সিং চাহালের ট্যুইটার হ্যান্ডেলের সৌজন্যে
Published on

রবিবার পাঞ্জাবের বারনালা শহরে "কিষাণ মজদুর র‍্যালি"-র আয়োজন করেছিল ভারতীয় কিষাণ ইউনিয়ন (একতা-উগ্রাহন) এবং পাঞ্জাব ক্ষেতমজদুর ইউনিয়ন। কেন্দ্রের তিনটি বিতর্কিত কৃষি আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে এই সমাবেশে লক্ষাধিক মানুষের জমায়েত হয়েছিল। এঁরা প্রত‍্যেকেই পাঞ্জাবের মালওয়া অঞ্চলের বাসিন্দা এবং কৃষিকাজের সাথে যুক্ত।

এই সমাবেশে বিকেইউ সভাপতি যোগীন্দর সিং উগ্রাহন লালকেল্লা তান্ডবে অভিযুক্তদের গ্রেফতারের জন্য দিল্লি পুলিশকে পাঞ্জাবে আসার চ‍্যালেঞ্জ জানিয়েছেন। কৃষকদের উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, "২৬ জানুয়ারি সহিংসতা মামলায় দিল্লি পুলিশ আপনাদের যে নোটিস পাঠিয়েছে, যেখানে তদন্তে সহযোগিতা করার জন্য আপনাদের পুলিশের সামনে হাজিরা দেওয়ার কথা বলা হয়েছে, সেই নোটিস নিয়ে মাথা ঘামানোর দরকার নেই। ওই নোটিসগুলো পুড়িয়ে দিন বা ছিঁড়ে ফেলুন। আমরা দিল্লি পুলিশকে সতর্ক করছি এই নোটিসের বিষয়ে পাঞ্জাবে যেন প্রবেশ না করে তারা। তাহলে আমাদের জনগণ তাদের ঘেরাও করবে। পাঞ্জাব পুলিশকেও বলছি এই নোটিস নিয়ে জনগণকে যেন বিরক্ত না করে তারা।"

তাঁর অভিযোগ, দিল্লি সীমান্তে চলা কৃষক আন্দোলনকে কলঙ্কিত করার জন্য ২৬ জানুয়ারি সরকার পক্ষের কিছু লোক ইচ্ছাকৃতভাবে গন্ডগোল করেছিল।

এই সমাবেশে বলবীর সিং রাজেওয়াল, রুলদু সিং মালসা, সুখদেব সিংয়ের মতো সংযুক্ত কিষাণ মোর্চার নেতারাও উপস্থিত ছিলেন। কৃষি আইনের বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরুর পর এই প্রথম পাঞ্জাবে এতো বড়ো মহাপঞ্চায়েত হল। আয়োজকদের দাবি, দুই লাখের বেশি কৃষক সমাবেশে যোগ দিয়েছিলেন।

স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in