মন্দির নির্মাণের জন্য জমি দান করতে অস্বীকার করায় স্থানীয় প্রশাসনের রোষানলে পড়লো একটি পরিবার। গ্রাম পঞ্চায়েতের তরফ থেকেই পরিবারটিকে বয়কট করার নির্দেশ জারি করা হয়েছে। মধ্যপ্রদেশের গুনা জেলার শিবাজী নগর এলাকার ঘটনা।
গত সপ্তাহে বেশ কয়েকজন অফিসারদের নিয়ে শিবাজী নগর গিয়েছিলেন ডিস্ট্রিক্ট কালেক্টর ফ্রাঙ্ক নোবেল। সেখানে হীরালাল ঘোষি নামের ওই পরিবারের প্রধান ডিস্ট্রিক্ট কালেক্টরকে এই বিষয়ে লিখিত অভিযোগ জানান। তখনই ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসে।
হীরালাল ঘোষি জানান, গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে তাঁর পরিবারকে বয়কট করার কথা ঘোষণা করা হয়েছে। তাঁর মাথার পাগড়িকে পঞ্চায়েত কর্মীদের পায়ের কাছে রাখতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। দাঁড়ি রাখতে নিষেধ করা হয়েছে। গোমূত্র পান করতে বলা হয়েছে। পঞ্চায়েত সদস্যদের জুতো মাথায় নিয়ে ঘুরতে বলা হয়েছে তাঁকে।
অভিযোগকারী আরও জানিয়েছেন, সামাজিক বয়কটের কারণে খুব কষ্টের মধ্যে দিয়ে দিন কাটাচ্ছে তাঁর পরিবার। গ্রামের লোকজনকে তাঁর পরিবারকে কোনো সাহায্য করতে নিষেধ করে দেওয়া হয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, সামাজিক কলঙ্ক সহ্য করতে না পারায় তাঁর এক ভাইয়ের হার্টঅ্যাটাক হয়েছিল। চিকিৎসা না পেয়ে মৃত্যু হয় তাঁর।
ঘোষি জানিয়েছেন, মন্দির নির্মাণের জন্য জমি দান করেছেন তাঁর বাবা-মা। কিন্তু মন্দির সম্প্রসারণের জন্য গ্রাম পঞ্চায়েত আরও অনেক জমি দাবি করছে এখন, যা তাঁর পক্ষে দেওয়া সম্ভব নয়। জমি দিতে অস্বীকার করার সাথে সাথেই গ্রামবাসীদের নিয়ে একটি বৈঠক ডাকে গ্রাম পঞ্চায়েত এবং সেখানে তাঁর পরিবারকে বয়কট করার কথা ঘোষণা করা হয়।
জেলা কালেক্টর ফ্রাঙ্ক নোবেল ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। অভিযোগ প্রমাণিত হলে অভিযুক্তদের উপযুক্ত শাস্তি দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
-With IANS Inputs
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন