নিজের দলের বিরুদ্ধেই ক্ষোভ প্রকাশ করলেন মধ্যপ্রদেশের বিজেপি বিধায়ক। পৌরসভার নির্বাচনে সরকারি সরঞ্জাম ব্যবহার হচ্ছে বলে তিনি অভিযোগ করেন। পাশাপাশি তিনি বলেন সরকারি আধিকারিকরা দলীয় প্রচারে অংশগ্রহণ করছেন। দলের বিধায়কের এই মন্তব্যের জেরে বেকায়দায় পড়েছে বিজেপি।
বুধবার বিজেপি নেতা নারায়ণ ত্রিপাঠী নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে বলেন, আমি বিজেপির বিরুদ্ধে নই। কিন্তু অনেক কাজ আছে যেগুলি মেনে নেওয়া যায় না। দলের নেতা কর্মীরা চারিদিকে প্রচারের জন্য ছুটে বেড়াচ্ছেন। কিন্তু দেখা যাচ্ছে ভোট প্রচারের জন্য সরকারি জিনিসপত্র সহ সরকারি অফিসারদেরকেও ব্যবহার করা হচ্ছে। এই ঘটনার জন্য আমি দুঃখিত। পাশাপাশি তিনি বলেন বর্তমানে ২ মিনিটে একটি সরকারকে ফেলে দেওয়া হচ্ছে। স্থানীয় নির্বাচনেও সেইরকম পদক্ষেপ নিন্দনীয়।
অন্যদিকে কংগ্রেসের পক্ষ থেকে বিজেপির নেতার এই বক্তব্যকে কার্যত সমর্থন জানানো হয়েছে। কংগ্রেসের এক নেতা বলেন, নারায়ণ ত্রিপাঠী সত্যিটা রাজ্যবাসীর কাছে তুলে ধরেছেন। যার জন্য তাঁকে ধন্যবাদ জানাই। এছাড়াও এখন নির্বাচন হলেই প্রিসাইডিং অফিসারেরা বিজেপির হয়েই কাজ করেন। এটা কখনই কাম্য নয়।
এই প্রসঙ্গে বলে রাখা ভালো ত্রিপাঠী ২০১৬ সালে বিজেপির টিকিটে উপনির্বাচনবে জয় লাভ করেছিলেন। পরে ২০১৮ সালে ফের বিজেপির হয়েই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে জয় লাভ করেন তিনি। উল্লেখ্য, তিনি ২০০৩ সালে সমাজবাদী পার্টির হয়ে মাইহার থেকে ভোটে লড়েন। জিতেও ছিলেন সেই সময়।
২০০৮ সালে পুনরায় সমাজবাদী পার্টির টিকিটে লড়লেও হারের মুখ দেখতে হয় তাঁকে। ২০০৯ সালে তিনি কংগ্রেসে যোগদান করেন। ২০১৩ সালে কংগ্রেসের প্রার্থী হয়ে বিজয়ী হন। ২০১৯ সালে বিধানসভায় একটি বিল পাশের সময় বিজেপির বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছিলেন নারায়ণ ত্রিপাঠী।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন