মধ্যপ্রদেশের ভোপাল জেলার বেরাশিয়া শহরে একটি গোশালায় প্রচুর সংখ্যক গরু মৃত অবস্থায় পাওয়া গেছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে বিষয়টি তদন্তের নির্দেশ দেয় জেলা প্রশাসন। পাশাপাশি শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা।
কিছুদিন আগে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও ভাইরাল হয়। যে ভিডিওতে দেখা যায় গোশালায় প্রচুর সংখ্যক গরুর মৃতদেহ। এরপরেই শুরু হয় কংগ্রেস-বিজেপির বাকযুদ্ধ। বিষয়টির গুরুত্ব বিবেচনা করে ভোপালের জেলা কালেক্টর অবিনাশ লাভানিয়া গোয়ালঘর পরিদর্শন করেন। পরিদর্শনের পরে, লাভানিয়া গোয়ালঘর পরিচালনাকারীদের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করার নির্দেশ দেন।
বেরাশিয়ার কালেক্টর নির্দেশনা অনুযায়ী মৃতদেহ এক জায়গায় সংগ্রহ করা এবং শেষকৃত্য সম্পন্ন না করার জন্য এসডিএমকে গোয়ালঘরের পরিচালকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি স্থানীয় প্রশাসনের আধিকারিকদের জড়িত থাকার বিষয়টি তদন্তের নির্দেশও দিয়েছেন। এছাড়াও, গরুর মৃত্যুর কারণ জানতে মৃতদেহের ময়নাতদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
ইতিমধ্যে, বিজেপি এবং কংগ্রেস উভয়ের নেতারা - সোশ্যাল মিডিয়ায় বাকযুদ্ধ শুরু করেছেন। চলছে একে অপরের বিরুদ্ধে দোষারোপের পালা। প্রবীণ কংগ্রেস নেতা এবং মধ্যপ্রদেশের দুই বারের মুখ্যমন্ত্রী দিবিজয় সিং, যিনি প্রায়শই এই ধরনের ইস্যুতে সোচ্চার হতেন, বিজেপির বিরুদ্ধে গরুর হাড় ও চামড়ার ব্যবসায় জড়িত থাকার অভিযোগ তুলেছেন। বিজেপির এক মহিলা নেত্রী চালাচ্ছেন বলে দাবি করেন তিনি।
সিং দাবি করেন, “বেরাশিয়ায় গরুর হাড় ও চামড়ার ব্যবসা বহু বছর ধরে চলে আসছে বিজেপি নেতা শান্ডিল্য পরিচালিত গোশালায়। আজকে ৫০০-র বেশি গরু মৃত অবস্থায় পাওয়া গেছে। গোহত্যার মামলা নথিভুক্ত করা উচিত এই গোশালা পরিচালন পর্ষদের বিরুদ্ধে।” পাশাপাশি বিগত বছরগুলোতে গোয়ালঘরে যে অনুদান দেওয়া হয়েছে তাও খতিয়ে দেখার দাবি জানান তিনি।
জবাবে বিজেপি নেতা পঙ্কজ চতুর্বেদী বলেছেন, “বিজেপি গো-রক্ষায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং জেলা প্রশাসন তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে। কংগ্রেস তাদের রাজনৈতিক লাভের জন্য এটিকে একটি ইস্যু করার চেষ্টা করছে।”
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন