সাংসদদের বক্তব্যে রাশ টানল কেন্দ্র। সংসদ ভবনের 'সম্মান বজায় রাখতে' কেন্দ্রের তরফ থেকে নতুন নিয়ম চালু করা হল। ‘ভণ্ডামি’, ‘দুর্নীতিগ্রস্ত’, 'দালাল' সহ বেশকিছু শব্দকে অসংসদীয় বলে দাবি করেছে সংসদ ভবন। পরবর্তী অধিবেশন থেকে সাংসদরা সেই শব্দ উচ্চারণ করতে পারবেন না। কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন বিরোধীরা।
সরকারের তরফ দাবি করা হচ্ছে, সংসদ ভবনে সাংসদরা বক্তব্য রাখার সময় মাঝে মাঝে বিভিন্ন কুরুচিকর শব্দ উচ্চারণ করেন। যেগুলো ব্যবহারের ফলে সংসদ ভবনের সম্মান ক্ষুণ্ণ হয়। সেইসব শব্দগুলি আসন্ন বাদল অধিবেশন থেকে শাসক-বিরোধী কেউই ব্যবহার করতে পারবেন না।
এ নিয়ে বেশ কয়েকজন বিরোধী নেতানেত্রীরা কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন। কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ বলেছেন, ‘যেসব শব্দগুলি নিষিদ্ধ করা হয়েছে সেগুলি সবই মোদী সরকারের আসল রূপ তুলে ধরার জন্য ব্যবহার করা হয়। আজ সেগুলিকেই অসংসদীয় বলে মান্যতা দেওয়া হল’। পাশাপাশি তিনি মোদীকে কটাক্ষ করে ‘বিশ্বগুরু’ বলেও সম্বোধন করেন।
ট্যুইটারে একটি মিম (meme) উল্লেখ করে মোদীর সমালোচনা করলেন শিবসেনা নেত্রী প্রিয়াঙ্কা চতুর্বেদী। হিন্দিতে তিনি বলেন, আগার কারে তো কারে ক্যা, বোলে তো বোলে ক্যা? সিরফ, বা মোদীজী বা!। অর্থাৎ তাহলে কী করবো, কী বলবো? শুধু বা মোদীজী বা বলবো?
তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তকে কার্যত চ্যালেঞ্জ জানিয়েছেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় লেখেন, ‘যেসব শব্দগুলি নিষিদ্ধ করা হয়েছে সেগুলি আমি ব্যবহার করবো। দরকারে আমাকে সাসপেন্ড করুক। তাও গণতন্ত্রের জন্য লড়াই চলবে’।
অব্যবহারযোগ্য শব্দগুলি হল, রক্তপাত, রক্তাক্ত, বিশ্বাসঘাতক, লজ্জিত, গালাগালি, প্রতারিত, চামচা, চামচাগিরি, শিশুত্ব, দুর্নীতি, কাপুরুষ, অপরাধী, কুমিরের কান্না, অসম্মান, গাধা, নাটক, ভণ্ডতা, অযোগ্য, বিভ্রান্তি, অসত্য, ললিপপ, বেচারা, মূর্খ, যৌন হেনস্থা, কালাদিন, দাঙ্গা, দাদাগিরি, দালাল, চরিত্রহীন, ববকাট, গিরগিটি।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন