গতকালই এনসিপি মুখপাত্র এবং মহারাষ্ট্রের মন্ত্রী নবাব মালিক জানিয়েছিলেন আরিয়ান খান মাদক মামলা থেকে সমীর ওয়াংখেড়েকে অপসারিত করা হয়েছে। যদিও শুক্রবার রাতের দিকে এক বিবৃতি জারি করে সেই কথা অস্বীকার করেছে।
শুক্রবার জারি করা বিবৃতিতে নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো (এনসিবি) জানিয়েছে, এনসিবি হেডকোয়ার্টারের অপারেশান ব্র্যাঞ্চের সদস্যদের নিয়ে তৈরি করা এক স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন টিম এই ঘটনার তদন্ত করবে। এই টিম তৈরি করবেন এনসিবি-র ডিরেক্টর জেনারেল। এনসিবি মুম্বাই জোনাল ইউনিটের হাতে থাকা মোট ছটি মামলার তদন্ত করবে এই সিট।
এই বিবৃতির পরেই মুম্বাইতে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় সমীর ওয়াংখেড়ে জানান, তাঁকে কোনো মামলা থেকে সরানো হয়নি। তিনি জানিয়েছেন, আমাকে কোনো তদন্ত থেকে সরানো হয়নি। আমিই আদালতে রিট পিটিশন দিয়ে জানিয়েছিলাম এই তদন্ত কেন্দ্রীয় সংস্থাকে দিয়ে করানো হোক। তাই আরিয়ান খান এবং সমীর খান কেস দিল্লির স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন টিম তদন্ত করবে। দিল্লি এবং মুম্বাইয়ের এনসিবি টিম যৌথভাবে এই তদন্ত চালাবে।
এনসিবি বিবৃতিতে আরও জানানো হয়েছে, কোনো অফিসার অথবা অফিসারদের তাঁদের বর্তমান দায়িত্ব থেকে সরানো হয়নি। তাঁরা সকলেই বর্তমান তদন্ত প্রক্রিয়ায় সহায়তা করবেন। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এনসিবি সারা দেশে একটি এজেন্সি হিসেবেই কাজ করে।
যদিও গতকাল নবাব মালিক জানিয়েছিলেন, সমীর ওয়াংখেড়েকে কর্ডেলিয়া ক্রুইজ মামলা সহ মোট পাঁচটি মামলা থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। গতকাল মালিক আরও দাবি করেন, এটা সবে শুরু। আরও অনেক কাজ বাকি আছে এবং আমরা তার সবটাই করবো। উল্লেখ্য মালিকের দাবি অনুসারে মোট ২৬টি কেস তদন্তাধীন।
অন্যদিকে দুর্নীতির অভিযোগ, জাল জাত শংসাপত্র, বিলাসবহুল জীবনযাত্রা এবং বিশেষ করে বলিউড এবং গ্ল্যামার দুনিয়া থেকে হাই প্রোফাইল ব্যক্তিদের আটক করা এবং তুলনামূলকভাবে নগণ্য মাদক দ্রব্য আটক সহ বিভিন্ন কারণে ওয়াংখেড়ে আপাতত সন্দেহের তালিকায় আছেন।
মালিক এবং ওয়াংখেড়ে গত এক মাস ধরে একটি অভূতপূর্ব বিতর্কে জড়িয়ে পড়েছেন। এনসিপি নেতা এনসিবি মুম্বাইয়ের প্রধানের উপর একের পর এক অভিযোগ এনেছেন। পাশাপাশি এক সাক্ষী তাঁর বিরুদ্ধে তোলাবাজির অভিযোগে হলফনামা দাখিল করেছেন। এছাড়াও কর্ডেলিয়া ক্রুইজে অভিযান চালানোর সময় ইন্ডিপেন্ডেন্ট উইটনেস হিসেবে বিজেপির সদস্য এবং এক দাগী অপরাধীকে সঙ্গে নেওয়ায় তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে।
এই ঘটনার পরেই ওয়াংখেড়ে তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেওয়ার দাবি জানিয়ে সুরক্ষা চেয়ে রাজনীতিবিদদের থেকে শুরু করে আদালতে ছুটে চলেছেন। সম্প্রতি পুলিশের হাতে তাঁর গ্রেপ্তারিতে তিন দিনের রক্ষাকবচ দেওয়া হয়েছে।
কর্ডেলিয়া ক্রুজ জাহাজে এক কথিত রেভ পার্টিতে অভিযান চালিয়ে ওয়াংখেড়ে আরিয়ান খান এবং অন্য সাতজনকে আটক করে এবং পরে আরও ১২ জনকে এই মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়, যা এক মাস ধরে জাতীয় স্তরে সংবাদ শিরোনামে আছে।
- with IANS inputs
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন