Fire Accident: রাজকোট অগ্নিকাণ্ডের দায় নিতে হবে পুরসভাকে, রাজ্য সরকারকেও তীব্র ভর্ৎসনা হাইকোর্টের
রাজকোটের গেমিং জোনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় গুজরাট সরকারের ভূমিকায় তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করলো গুজরাট হাইকোর্ট। আদালত পরিষ্কার জানিয়ে দেয় রাজ্য সরকার (বর্তমানে বিজেপি ক্ষমতায় রয়েছে এই রাজ্যে) এবং পৌর নিগমের ওপর কোনো আস্থা নেই।
মামলাটি উঠেছিল গুজরাট হাইকোর্টের বিচারপতি বীরেন বৈষ্ণব এবং বিচারপতি দেবন দেশাই-র বিশেষ বেঞ্চে। বেঞ্চ পরিষ্কার জানায়, এই মর্মান্তিক ঘটনার দায় নিতে হবে রাজকোট পৌর নিগম ও রাজ্য প্রশাসনকে। পাশাপাশি রাজকোট পুলিশ কমিশনারকেও এই ঘটনায় হলফনামা দিয়ে বক্তব্য জানাতে হবে। কীভাবে দমকল বিভাগের লাইসেন্স ছাড়াই তিন বছর গেমিং জোনটি চলছিল তার জবাব পুলিশকে দিতেই হবে। এতগুলো মৃত্যুর পর প্রশাসন সক্রিয় হয়েছে কেন? আগে কোথায় ছিল?
রাজকোট পৌর নিগমের আইনজীবী বলেন, ওই গেমিং জোন কর্তৃপক্ষ অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থার জন্য কোনো এনওসি-র আবেদন জানায়নি। তারপরই আদালত প্রশ্ন করে, একটা গেমিং জোন চালাতে গেলে একাধিক শংসাপত্র ও জরুরী নথির প্রয়োজন হয়। কিন্তু দেখা যাচ্ছে গেমিং জোনের কাছে কিছুই ছিল না। তারপরেও রাজকোট পৌর নিগম কোনো হস্তক্ষেপ করেনি কেন?
হাইকোর্টের ভর্ৎসনার পরই পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে প্রশাসন। রাজকোট পৌর নিগমের চার আধিকারিক এবং ২ জন পুলিশ আধিকারিককে সাসপেন্ড করা হয়েছে। নতুন পৌর ও পুলিশ কমিশনার হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছে ডি পি দেশাই এবং ব্রজেশ কুমার ঝাকে।
উল্লেখ্য, শনিবার সন্ধ্যায় রাজকোটের নানা-মাওয়া সড়কের উপর থাকা টিআরপি গেমিং জোনে আগুন লাগে। গেমিং জোন তখন শিশু ও তাঁদের পরিজনদের ভিড়ে পরিপূর্ণ ছিল। ৩২ জন অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা যান। এর মধ্যে ৯ জোন শিশু। গুজরাট সরকার মৃতদের পরিবার পিছু ৪ লক্ষ টাকা এবং আহতদের জন্য ৫০ হাজার টাকা করে ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন