ভারতের ৫০ তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে শপথ নিলেন বিচারপতি ধনঞ্জয় যশবন্ত চন্দ্রচূড় (D.Y.Chandrachud)। বুধবার রাষ্ট্রপতি ভবনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বিচারপতি চন্দ্রচূড়কে শপথ বাক্য পাঠ করান রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। ২০২৪ সালের ১০ নভেম্বর পর্যন্ত অর্থাৎ ২ বছরের জন্য সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির দায়িত্ব পালন করবেন বিচারপতি চন্দ্রচূড়।
এদিন শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, আইনমন্ত্রী কিরেন রিজিজু, সদ্য প্রাক্তন হওয়া প্রধান বিচারপতি ইউ.ইউ. ললিত, সুপ্রিম কোর্টের অন্যান্য বিচারপতি এবং বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ।
গত ৮ নভেম্বর সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির পদ থেকে অবসর নিয়েছেন বিচারপতি উদয় উমেশ ললিত (U.U.Lalit)। তার আগে গত ১১ অক্টোবর বিচারপতি ললিত তাঁর উত্তরসূরী হিসেবে চন্দ্রচূড়ের নাম কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে সুপারিশ করেন।
দেশের ৫০ তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে শপথ বাক্য পাঠ করার পর সংবাদমাধ্যমে দেওয়া বিবৃতিতে বিচারপতি চন্দ্রচূড় বলেন, "সাধারণ মানুষের সেবা করা আমার অগ্রাধিকার। আমি নই, আমার কাজ কথা বলবে।" রেজিস্ট্রি এবং বিচার বিভাগীয় প্রক্রিয়া সংস্কারের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি।
২০১৬ সালের ১৩ মে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি পদে উন্নীত হন বিচারপতি চন্দ্রচূড়। তিনি অযোধ্যা জমি বিরোধ এবং গোপনীয়তার অধিকার সহ বেশ কয়েকটি যুগান্তকারী মামলার রায় ঘোষণার সময় সাংবিধানিক বেঞ্চের অংশ ছিলেন৷ কোভিড পরিস্থিতিতে জনগণকে দুর্দশা থেকে মুক্তি দিতেও বেশ কয়েকটি রায় দিয়েছিলেন তিনি। সম্প্রতি তাঁর নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ অবিবাহিত মহিলাদের মেডিকেল টার্মিনেশন অফ প্রেগন্যান্সি (এমটিপি)-র অন্তর্ভুক্ত করার ক্ষেত্রেও রায় দিয়েছে।
এছাড়াও আধার প্রকল্পের বৈধতা, শবরীমালা ইস্যু এবং ভারতীয় দন্ডবিধির ৩৭৭ ধারা বাতিল করা সংক্রান্ত মামলার রায় দেন তিনি।
বিচারপতি চন্দ্রচূড় সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি যশবন্ত বিষ্ণু চন্দ্রচূড়ের ছেলে। যিনি ১৯৭৮ সালের ২২ ফেব্রুয়ারী থেকে ১৯৮৫ সালের ১১ জুলাই পর্যন্ত বিচার বিভাগীয় প্রধান ছিলেন। বিচারপতি হিসেবে মেয়াদ থাকাকালীন ব্যভিচার এবং গোপনীয়তার অধিকার সম্পর্কিত দুটি রায় দিয়েছিলেন তিনি। বাবার দেওয়া সেই রায় দুটির উপর বদল এনেছিলেন বিচারপতি চন্দ্রচূড়।
নয়া দিল্লির সেন্ট স্টিফেন কলেজ থেকে অর্থনীতিতে স্নাতক সহ বিএ পাশ করার পর বিচারপতি চন্দ্রচূড় দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস ল সেন্টার থেকে এলএলবি পাশ করেন। পরবর্তীতে হার্ভার্ড ল স্কুল, ইউএসএ থেকে এলএলএম ডিগ্রি এবং জুরিডিকাল সায়েন্সে (এসজেডি) ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জন করেন।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন