নাগাল্যান্ড, মণিপুরের বিভিন্ন নাগা গোষ্ঠী ও সংগঠনগুলি প্রজাতন্ত্র দিবস উদযাপন করা থেকে বিরত থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ডিসেম্বরে নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে ১৪ জন নিরীহ গ্রামবাসীর মৃত্যু এবং নাগা শান্তি প্রক্রিয়ায় দেরি করার প্রতিবাদে জনগণকে প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠান বয়কট করার আহ্বান জানিয়েছে তারা।
পাশাপাশি, ইস্টার্ন নাগাল্যান্ড পিপলস অর্গানাইজেশন (ইএনপিও), অল নাগা স্টুডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন (এএনএসএ), ইউনাইটেড নাগা কাউন্সিল (ইউএনসি) সহ অন্যান্য নাগা সংগঠনগুলি “আফস্পা আইন” প্রত্যাহার করার দাবি জানিয়েছে। ENPO, ANSA, UNC সহ বিভিন্ন নাগা সংগঠনগুলি রবিবার এবং সোমবার পৃথক বিবৃতিতে কেন্দ্রীয় সরকারকে কঠোর সমালোচনা করে জানিয়েছে, নাগাল্যান্ডের মোন জেলায় নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে নিহত হওয়া ১৪ জন গ্রামবাসী এখনও বিচার পায়নি। যতদিন না বিচার পাচ্ছে নিহতদের পরিবার, তারা আন্দোলন চালিয়ে যাবে।
নাগাল্যান্ডের বিভিন্ন নাগা সংগঠন এবং উপজাতীয় নেতাদের কাছে পৃথক চিঠিতে ENPO বলেছে যে, নাগা নাগরিক সমাজ ১৪ জন নিরপরাধ মানুষের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের ন্যায়বিচার না পাওয়া পর্যন্ত ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনীর সাথে ‘অসহযোগ নীতি’ নিয়ে চলবে। চিঠিতে বলা হয়েছে - “পূর্ব নাগাল্যান্ডের জনগণ ২৬ জানুয়ারি আসন্ন প্রজাতন্ত্র দিবস উদযাপনে অংশ নেবে না”। যৌথভাবে স্বাক্ষর করেছেন আর. সাপিকিউ সাংতাম, সভাপতি (ENPO) এবং সি. মানলাং ফম, সাধারণ সম্পাদক, (ENPO)
ইউএনসি-এর মণিপুর ইউনিটের সাধারণ সম্পাদক এস মিলান বলেন, “মণিপুরের নাগা জনগণ অসহযোগ আন্দোলনের অংশ হিসাবে আসন্ন প্রজাতন্ত্র দিবস উদযাপনে অংশগ্রহণ করা থেকে বিরত থাকবে। আঞ্চলিক সংস্থাগুলিকে অনুরোধ করা হচ্ছে যে এই নির্দেশটি কঠোরভাবে যেন প্রয়োগ করা হয়।”
প্রসঙ্গত, ডিসেম্বরে জঙ্গী সন্দেহে নিরীহ গ্রামবাসীদের উপর গুলি চালানোর অভিযোগ ওঠে সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে। ঘটনার জেরে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে উত্তর-পূর্বাঞ্চল-সহ গোটা দেশ। প্রতিবাদে সরব হয় অনেক সংগঠন, গোষ্ঠীও। নাগাল্যান্ডে সেনাবাহিনীর কোনও পদক্ষেপ বরদাস্ত করা হবে না বলে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন