রাত পেরলেই (৫ এপ্রিল, বুধবার) দিল্লির রাজপথে নামছেন দেশের শ্রমিক-কৃষক-খেতমজুরেরা। পার্লামেন্ট স্ট্রিটে হবে মজদুর কিষান সংঘর্ষ র্যালি। আর, এই সমাবেশে যোগ দেওয়ার জন্য সকলকে আহ্বান জানিয়েছেন অভিনেতা নাসিরুদ্দিন শাহ, ইতিহাসবিদ ইরফান হাবিব, সমাজকর্মী হর্ষ মান্দারের মতো দুই’ শতাধিক ব্যক্তি।
এই সমাবেশের ডাক দিয়েছে সেন্টার অফ ইন্ডিয়ান ট্রেড ইউনিয়ন (সিআইটিইউ), সারা ভারত কৃষক সভা (এআইকেএস) এবং সারা ভারত খেতমজুর ইউনিয়ন (এআইএডব্লিউইউ)।
মঙ্গলবার, দেশের শ্রমিক-কৃষক-খেতমজুরদের আন্দোলনের পাশে দাঁড়াতে একটি বিবৃতি প্রকাশ করা হয়েছে। তাতে সই করেছেন দেশের বিশিষ্ট নাগরিক এবং বুদ্ধিজীবীরা।
বিবৃতিতে, বর্তমানে দেশের শ্রমজীবী মানুষের জীবন ও জীবিকা বিপন্ন করে, শ্রমিক শ্রেণীর চাহিদা উপেক্ষা করে কেন্দ্রীয় সরকার যে নীতি নিয়েছে, তা শুধুমাত্র কর্পোরেট সেক্টরের সুবিধা পূরণে কাজ করছে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘বর্তমান সরকারের কুখ্যাত অর্থনৈতিক আক্রমণের জেরে শ্রমজীবী মানুষের অবস্থা নজিরবিহীন অবনতি হয়েছে। মজুরি হ্রাস, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধি, ক্রমবর্ধমান বেকারত্ব, কৃষিজাত পণ্যের আয় কমে যাওয়া, কৃষির অস্বাভাবিক মজুরির ফলে গভীর সংকটে লক্ষ লক্ষ মানুষ। আর, সরকারকের বর্তমান পরিকল্পনা ও নীতি প্রান্তিক পরিবারগুলিতে আরও প্রান্তিকতার দিকে ঠেলে দিচ্ছে।'
এই বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেছেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ, কবি, লেখক, আইনজীবী, বিজ্ঞানী, অভিনেতা, সাংবাদিকসহ অন্যান্যরা।
স্বাক্ষরকারীদের মধ্যে রয়েছেন প্রভাত পট্টনায়েক, ইরফান হাবিব, সুমিত সরকার, মনোরঞ্জন মোহান্তি, কে.এম. শ্রীমালী, উত্সা পট্টনায়েক, কে. সচ্চিদানন্দন, পি. সাইনাথ, জয়তী ঘোষ, সি.পি. চন্দ্রশেখর, হর্ষ মান্দার, জন দয়াল, এন. রাম, অ্যাডমিরাল এল. রামদাস, নাসিরুদ্দিন শাহ, রত্না পাঠক শাহ, তিস্তা সেটালভাদ, বদ্রী রায়না, নন্দিতা নারায়ণ, আনন্দ পাটবর্ধন, সাঈদ মির্জা, শাজি এন. করুণ, সৈয়দা হামিদ, তনিকা সরকার, অচিন বনাইক, রাজীব ভার্গব, শশী কুমারসহ অন্যান্যরা।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন