বয়ঃসন্ধিকাল বা ১৫ বছর পেরোলেই মুসলমান মেয়েরা বিয়ে করতে পারেন। মুসলিম পার্সনাল ল’ (Muslim Personal Law)) অনুযায়ী এটি বৈধ। তবে, তা পরিবর্তন করে- অন্যান্য সম্প্রদায়ের মতো মুসলমান মেয়েদের বিয়ের ন্যূনতম বয়স ১৮ করার দাবি জানিয়েছে জাতীয় মহিলা কমিশন (National Women's Commission)। এ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছে কমিশন।
সূত্রের খবর, মামলাটি গ্রহণ করেছে শীর্ষ আদালত। এ নিয়ে কেন্দ্রের প্রতিক্রিয়া জানতে চেয়েছে প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় এবং বিচারপতি পি এস নরসিংয়ের ডিভিশন বেঞ্চ।
জাতীয় মহিলা কমিশনের পক্ষে মামলাটি করেছেন আইনজীবী গীতা লুথেরা, আইনজীবী শিবানী লুথেরা লোহিয়া এবং অস্মিতা নারুলা।
জানা যাচ্ছে, মামলার হলফনামায় বলা হয়েছে, ‘কোনও মেয়ে বয়ঃসন্ধিতে পৌঁছেলে, হয়তো সে জৈবিক ভাবে প্রজনন করতে সক্ষম। কিন্তু তার অর্থ এই নয় যে, সংশ্লিষ্ট মেয়েটি মানসিক ভাবে যথেষ্ট পরিপক্ব এবং বিয়ে করার জন্য শারীরিক ভাবে প্রস্তুত।’
প্রসঙ্গত, এর আগে, ১৮ বছরের কম বয়সী মুসলমান মেয়েদের বিবাহে 'আইনি বৈধতা' নিয়ে গত জুন মাসে একটি মামলা দায়ের হয়েছিল পঞ্জাব ও হরিয়ানা হাইকোর্টে। সেই মামলার শুনানিতে আদালত জানায়, '১৫ বছর বয়সে, বয়ঃসন্ধি পেরনো মুসলিম মহিলারা নিজের পছন্দের কাউকে বিয়ে করতেই পারে। সেক্ষেত্রে সে স্বাধীন। মুসলিম পার্সোনাল ল-র অধীনে এই বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার অধিকার দেওয়া হয়েছে মুসলিম তরুণীদের।'
তবে, হাইকোর্টের এই রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের দারস্ত হয় জাতীয় শিশু সুরক্ষা কমিশন (National Commission for Protection of Child Rights)। কমিশন দাবি করে, হাই কোর্টের এই রায়ের অর্থ, দেশে বাল্য বিবাহকে অনুমতি দেওয়া হচ্ছে এবং বাল্য বিবাহ প্রতিরোধ আইন, ২০০৬-কে অমান্য করা হচ্ছে। তাছাড়া উচ্চ আদালতের এই রায় পকসো আইনকেও লঙ্ঘন করছে বলে দাবি করে জাতীয় শিশু সুরক্ষা কমিশন।
এবার, সেই একই যুক্তিতে সুপ্রিম কোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছে জাতীয় মহিলা কমিশন। এই মামলার প্রেক্ষিতে নোটিশ পাঠিয়ে চার সপ্তাহের মধ্যে কেন্দ্রের প্রতিক্রিয়া জানতে চেয়েছে শীর্ষ আদালত। এখন দেখার কি প্রতিক্রিয়া দেয় মোদী সরকার।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন