ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় দ্বিতীয়বার এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের মুখোমুখি হলেন কংগ্রেস নেত্রী সোনিয়া গান্ধী। ইতিমধ্যেই তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করা হয়েছে বলে জানা গেছে। এর আগে গত ২১ জুলাই সোনিয়া গান্ধীকে কয়েক ঘন্টা জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল ইডি আধিকারিকরা।
এ প্রসঙ্গে মঙ্গলবার বিজয়চকে রাহুল গান্ধীর নেতৃত্বে বিক্ষোভ দেখালো কংগ্রেস। রাষ্ট্রপতি ভবনের সামনে মিছিল করার সময় আটক করা হয়েছে কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী সহ প্রায় ৫০ জন কংগ্রেস নেতৃত্বকে। পুলিশের সাথে ব্যাপক ধস্তাধস্তি হয়েছে তাঁদের। নিউ পুলিশ লাইন্স, কিংসওয়ে পুলিশ ক্যাম্পে তাঁদের আটক করে রাখা হয়েছে। ডেপুটি কমিশনার অফ পুলিশ অমরুথা গুগলথ জানিয়েছেন, "রাহুল গান্ধী সহ ৫০ জন সাংসদকে সংসদ নিকটবর্তী নর্থ ফাউন্টেন থেকে আটক করা হয়েছে। তাঁরা আপাতত কিংসওয়ে ক্যাম্পে আছেন।"
মূলত, বিরোধী নেতাদের বিরুদ্ধে নরেন্দ্র মোদীর সরকার কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থাগুলির অপব্যবহার করছে বলেই অভিযোগ কংগ্রেসের। এর পাশাপাশি মূল্যবৃদ্ধি, বেকারত্ব-সহ একাধিক ইস্যুতে বিক্ষোভ দেখায় কংগ্রেস। তাতে নেতৃত্ব দিতে গিয়েই আটক হন রাহুল।
এর প্রতিবাদে মঙ্গলবার রাষ্ট্রপতি ভবনে সাংসদদের পদযাত্রার সময় রাহুল গান্ধী এবং বেশ কয়েকজন কংগ্রেস নেতাকে আটক করা হয়েছে। বিক্ষোভ চলাকালীন বিরোধী দলের নেতা মল্লিকার্জুন খাড়গেকেও আটক করা হয়। তদন্ত সংস্থার সদর দফতরের আশপাশে আধাসামরিক বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। পাশাপাশি অতিরিক্ত পুলিশ দলও মোতায়েন করা হয়েছে। পুলিশ প্রতিটি যানবাহন চেক করছে এবং এপিজে আব্দুল কালাম রোডের দিকে যাওয়া প্রত্যেককে জিজ্ঞাসাবাদ করছে।
এ প্রসঙ্গে রাহুল গান্ধী বলেছেন, "কংগ্রেসের সকল সাংসদ এখানে এসেছেন। তাঁরা মুদ্রাস্ফীতি, বেকারত্ব নিয়ে কথা বলেছেন। কিন্তু পুলিশ আমাদের এখানে বসতে দিচ্ছে না। সংসদের ভিতরেও আলোচনা করতে দেওয়া হচ্ছে না এবং এখানে পুলিশ আমাদের গ্রেফতার করছে।"
সংসদের বর্ষা অধিবেশনের শুরু থেকেই বিরোধী সাংসদদের বিভিন্ন বিষয়ে ক্রমাগত নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন স্পিকার ওম বিড়লা। সংসদ অধিবেশনের বাকি অংশের জন্য হাউস থেকে তাদের স্থগিতাদেশের বিরুদ্ধে মঙ্গলবার লোকসভার ৪ জন কংগ্রেস সাংসদ সংসদ চত্বরে একটি প্রতিবাদ সভার আয়োজন করেছিলেন। বিভিন্ন বিরোধী দলের নেতারা সেখানে যোগ দিয়েছিলেন।
ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় সোনিয়া গান্ধী ইডি-র সামনে হাজির হওয়ায় কংগ্রেস কর্মী ও নেতারা মঙ্গলবার দলের সদর দফতরে সংহতি প্রদর্শনের জন্য জড়ো হয়েছিল।সোনিয়ার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে দেশজুড়ে 'সত্যগ্রহ' পালন করেছে কংগ্রেস।
কংগ্রেস সাংসদদের বরখাস্ত করার বিষয়টিকে 'গণতন্ত্রের হত্যা' বলে অভিযোগ করে, বরখাস্ত করা সাংসদ, মানিকম ঠাকুর, রাম্য হরিদাস, টি এন প্রথাপন এবং এস জোথি মণি, সংসদ কমপ্লেক্সে মহাত্মা গান্ধীর মূর্তির সামনে বিক্ষোভ করেছিলেন। বিক্ষোভে সংহতি প্রদর্শনে বিক্ষোভকারীদের সাথে যোগ দিয়েছিলেন বাম দল, এনসিপি, ডিএমকে এবং কংগ্রেসের নেতারা এবং সরকারের বিরুদ্ধে স্লোগান তুলেছিলেন।
- with IANS inputs
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন