কংগ্রেস সভাপতি সোনিয়া গান্ধীকে ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় বুধবার তৃতীয়বারের জন্য তলব করেছিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বা ইডি। মেয়ে প্রিয়াঙ্কা গান্ধীকে নিয়ে ইডি অফিসে হাজিরা দিয়েছিলেন তিনি। তিনঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের পর ইডি অফিস থেকে বেরোন তিনি। ইডির এই তলবের প্রতিবাদে ব্যাপক বিক্ষোভে নামলেন কংগ্রেস কর্মীরা।
রাজধানীতে কংগ্রেসের সদর দফতরের বাইরে বহু-স্তরীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকা স্বত্ত্বেও, বুধবার তীব্র প্রতিবাদে সামিল হন কংগ্রেস কর্মীরা। ইডির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখানোয় কংগ্রেসের শীর্ষস্থানীয় নেতা সহ একাধিক কর্মীকে আটক করেছে পুলিশ।
কংগ্রেস কর্মীরা যাতে ইডি অফিসের দিকে কোনও ধরণের মিছিল করতে না পারে, সে জন্য একাধিক ব্যারিকেড দিয়ে ঘিরে ফেলা হয়েছিল ইডি সংলগ্ন রাস্তাগুলি। এরপরও কংগ্রেস কর্মীরা ইডি অফিসের উদ্দেশ্যে মিছিল শুরু করেন। স্লোগান দিতে দিতে ব্যারিকেড ভেঙে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশ তাদের আটক করে। শচীন পাইলট সহ দলের বেশ কয়েকজন নেতাকে আটক করা হয়েছে। কংগ্রেসের অভিযোগ, মহিলা কর্মীদের হেনস্থা করেছে পুরুষ পুলিশ। তাঁদের জামা ছিঁড়ে দেওয়া হয়েছে।
অন্যদিকে বিজয়চক থেকে কংগ্রেস সাংসদদের আটক করেছে দিল্লি পুলিশ। মূল্যবৃদ্ধির মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি নিয়ে সংসদে আলোচনা করার দাবি জানিয়ে বিক্ষোভ দেখানোয় একাধিক কংগ্রেস সংসদকে সোমবার পুরো বাদল অধিবেশন থেকে বরখাস্ত করেছেন লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা। এর প্রতিবাদে, মূল্যবৃদ্ধি সহ একাধিক বিষয়ে সংসদে আলোচনার দাবিতে এবং সোনিয়া গান্ধীকে ইডি তলবের প্রতিবাদে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে একটি স্মারকলিপি দিতে যাচ্ছিলেন কংগ্রেস সাংসদরা। বিজয়চকের কাছে পুলিশ তাঁদের গ্রেফতার করে।
এ প্রসঙ্গে কংগ্রেস নেতা মনীশ তেওয়ারি বলেছেন, "আমরা রাষ্ট্রপতি মুর্মুকে একটি স্মারকলিপি দিতে চেয়েছিলাম। কিন্তু দিল্লি পুলিশ টানা দ্বিতীয়বার আমাদের থামিয়ে আটক করেছে।"
কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী বলেন, "কংগ্রেসের সাংসদরা মুদ্রাস্ফীতি, বেকারত্ব নিয়ে কথা বলতে চান। কিন্তু পুলিশ আমাদের এখানে বসতে দিচ্ছে না। সংসদের ভিতরেও আলোচনা করতে দেওয়া হচ্ছে না এবং এখানে পুলিশ আমাদের গ্রেফতার করছে।"
উল্লেখ্য, আর্থিক তছরূপের মামলায় সোনিয়া গান্ধীকে ইডির জিজ্ঞাসাবাদের প্রতিবাদে গতকাল সংসদ ভবন থেকে রাষ্ট্রপতি ভবন পর্যন্ত বিক্ষোভ মিছিল করার সময় রাহুল গান্ধী সহ বেশ কয়েকজন কংগ্রেস সাংসদকে দীর্ঘক্ষণ আটক রেখেছিল দিল্লি পুলিশ।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন