গতকালই কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে দেশীয় সম্পদ বিক্রির তালিকা ঘোষণা করেছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। মঙ্গলবার এই ঘটনাকে ‘কেন্দ্রীয় সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে ভারত বিক্রির ঘোষণা করেছে’ বলে জানালো সিপিআই(এম) পলিটব্যুরো।
এদিন এক ট্যুইট বার্তায় সিপিআই(এম) সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি জানান – ‘অবিলম্বে ভারত বিক্রি বন্ধ করুন’। গতকাল কেন্দ্রীয় সরকারের ঘোষণার পর তিনি জানিয়েছিলেন - 'এবার প্রকাশিত হল ভারতের জাতীয় সম্পত্তি লুটের নীলনকশা। অর্থমন্ত্রীর ন্যাশনাল মনিটাইজেশন পাইপলাইনে রয়েছে দেশ ও জনগণের সম্পদ লুটের তালিকা। দেশের সম্পদ বিক্রির প্রতিবাদ করতে হবে সবাইকে, যাতে মোদি সরকার বিক্রি প্রক্রিয়া বন্ধ করতে বাধ্য হয়।'
মঙ্গলবার ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্কসবাদী)-র পলিটব্যুরোর পক্ষে এক বিবৃতি জারি করে কেন্দ্রীয় সরকারের এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানানো হয়। এদিনের বিবৃতিতে সিপিআই(এম)-এর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে – ‘অর্থমন্ত্রী গতকাল যে ন্যাশনাল মনিটাইজেশন পাইপলাইন (এনএমপি) প্রকাশ করেছেন, তাতে আমাদের জাতীয় সম্পদ এবং পরিকাঠামোর লুটের বিবরণ রয়েছে। এই ঘটনা জনগণের সম্পদের সরাসরি লুন্ঠন।’
বিবৃতিতে আরও বলা হয় - দৈনন্দিন খরচ মেটাতে পারিবারিক সম্পদ বিক্রি করা কোনো অর্থনৈতিক বিষয় বা উপযুক্ত সিদ্ধান্ত নয়। যেসময় বাজারে মন্দা, সেইসময় এইধরনের বিক্রির ধুয়ো তোলা শুধুমাত্র ফাটকাবাজ পুঁজিপতিদের জন্য লাভজনক এবং এর ফলে ধান্দার ধনতন্ত্রের বিকাশ হবে।
সিপিআই (এম) এর পলিট ব্যুরো ভারতের জনগণের কাছে দেশের জাতীয় সম্পদের এই লুটের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ও প্রতিরোধের আহ্বান জানায়।
প্রসঙ্গত গতকাল প্রকাশিত এনএমপি-তে বলা হয়েছে - এনএমপিতে বলা হয়েছে, চারটি পদ্ধতিতে সম্পদ বিক্রি হবে। প্রথমত, বাজারদর, দ্বিতীয়ত, পিপিপি পথে, তৃতীয়ত, খাতায় কলমে যে দাম রয়েছে, চতুর্থত, কত আয় হয় তার ভিত্তিতে।
রেলের পরিকাঠামো বিক্রি করে তোলা হবে ১ লাখ ৫২ হাজার কোটি টাকা। ৪০০টি স্টেশন, ১৫০টি ট্রেন বিক্রি করা হবে। ১৫টি রেল স্টেডিয়াম, রেলের ২৪৪ কিলোমিটার লাইন, কোঙ্কন রেলওয়ের ৭৪২ কিলোমিটার লাইন বিক্রি হবে। বিক্রির তালিকায় আছে সড়ক পরিকাঠামো, পেট্রোপণ্য, বিভিন্ন বন্দরও।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন