অগ্নিপথ প্রকল্প পর্যালোচনার দাবি জানালো এনডিএ-র শরিক দলগুলি। যার মধ্যে নীতিশ কুমারের জেডিইউ, চিরাগ পাসওয়ানের এলজেপি রয়েছে। সরকার গঠন হওয়ার পর জোট শরিকদের দাবিগুলিকে বিজেপি মান্যতা দেয় কিনা এখন প্রশ্ন সেটাই।
শুক্রবার দিল্লির সংসদ ভবনের সেন্ট্রাল হলে বিজেপি সহ এনডিএ-র শরিক দলগুলির বৈঠক থেকে নরেন্দ্র মোদীকেই নেতা হিসেবে বেছে নেওয়া হয়। সূত্রের খবর, রবিবার সন্ধ্যা ৬টায় তৃতীয়বারের জন্য প্রধানমন্ত্রী পদে শপথ নেবেন মোদী। তবে বিজেপিকে চিন্তায় রাখছে শরিকদলগুলির একের পর দাবি।
নীতিশ কুমার এবং চিরাগ পাসওয়ান অগ্নিপথ প্রকল্পটি ঠিক কিনা তা পুনরায় আলোচনার দাবি জানিয়েছেন। এই প্রসঙ্গে চিরাগ পাসওয়ান বলেন, এনডিএ-র মধ্যে সমস্ত বিষয়ে আলোচনার স্বাধীনতা রয়েছে। নরেন্দ্র মোদী পরিষ্কার জানিয়েছেন এনডিএ শরিকরা তাদের সমস্ত সমস্যার কথা জানাতে পারে। তাই আমরা অগ্নিপথ প্রকল্প পর্যালোচনার দাবি জানিয়েছি।
তিনি আরও জানান, যদি প্রকল্পটির মাধ্যমে উপভোক্তারা সাহায্য পান তাহলে ঠিক আছে। কিন্তু লাভ না হলে অবশ্যই সেই প্রকল্প নিয়ে আলোচনার প্রয়োজন রয়েছে। যদি কোনো সংশোধনের প্রয়োজন হয় তার জন্য আমরা পরামর্শ দিতে পারি।
জেডিইউ-র সাধারণ সম্পাদক কে সি ত্যাগি বলেন, এনডিএ শরিকদের মধ্যে আমরা সর্বপ্রথম অগ্নিপথ প্রকল্প পর্যালোচনার দাবি জানিয়েছি। বছর বছর এই প্রকল্প ঠিক চলছে কিনা তা খতিয়ে দেখা দরকার।
বিরোধীরা বরাবরই অগ্নিপথ প্রকল্প নিয়ে বিজেপিকে চাপে রাখতে চেয়েছে। কংগ্রেসের নির্বাচনী ইস্তেহারে অগ্নিপথ প্রকল্প তুলে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল। এমনকি পূর্ব দিল্লির দিলশাদ গার্ডেনে এক নির্বাচনী সভায় রাহুল গান্ধী বলেছিলেন, 'ক্ষমতায় এলে আমরা অগ্নিবীর প্রকল্পকে ছুঁড়ে ডাস্টবিনে ফেলে দেবো'। কিন্তু জোট শরিকদের থেকে সেই একই প্রকল্পের পর্যালোচনার দাবি কিছুটা হলেও অস্বস্তি বাড়িয়েছে বিজেপির।
প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের জুন মাসে ‘অগ্নিপথ’ প্রকল্প ঘোষণা করে মোদী সরকার। এতে বছরে ৪৫ থেকে ৫০ হাজার যুবক ‘অগ্নিবীর’ হিসাবে নিয়োগ পাবেন সেনাবাহিনীতে। তবে এটি হবে চুক্তিভিত্তিক, মাত্র ৪ বছরের জন্য নিয়োগ পাবেন। মোদী সরকারের এই প্রকল্প নিয়ে তোলপাড় হয়েছিল গোটা দেশ। দেশের মধ্যে প্রায় ১৩টিরও বেশি রাজ্যে অগ্নিপথ নিয়ে অগ্নিগর্ভ হয়েছিল পরিস্থিতি। বিহার, ঝাড়খণ্ড, রাজস্থান, উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, গুজরাট এবং পশ্চিমবঙ্গ সহ একাধিক রাজ্যে রেলপথ, সড়কপথ অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখিয়েছিল তরুণ সমাজ। বিক্ষোভের জেরে ট্রেন, বাস এমনকি ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছিল।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন