দিল্লি হাইকোর্টের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হলেন নিউজক্লিকের এডিটর-ইন-চিফ প্রবীর পুরকায়স্থ এবং সংস্থার হিউম্যান রিসোর্স প্রধান অমিত চক্রবর্তী। সোমবার শীর্ষ আদালত তাঁদের এই আবেদন নথিবদ্ধ করায় সম্মতি জানিয়েছে।
বার এন্ড বেঞ্চ-এর তথ্য অনুসারে, এই প্রসঙ্গে শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় জানিয়েছেন, আইনজীবী কপিল সিব্বলের উল্লেখের পর আদালত এই বিষয়ের নথিপত্র পরীক্ষা করেছে এবং বিষয়টিকে নথিভুক্ত করায় সম্মতি জানিয়েছে।
এর আগে গত সপ্তাহে দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতি তুষার রাও গেদেলা প্রবীর পুরকায়স্থ এবং অমিত চক্রবর্তীর আনা আবেদন খারিজ করে দেয়। যে আবেদনে পুরকায়স্ত এবং চক্রবর্তীর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল, গ্রেপ্তারের সময় কী কারণে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে তার কোনও কারণ দেখানো হয়নি। তাঁরা তাঁদের হেফাজতের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছিলেন।
এই ক্ষেত্রে আবেদনকারীরা জানান, তাঁদের গ্রেপ্তার এবং হেফাজত সম্পূর্ণ বেআইনি। কারণ তাঁদের গ্রেপ্তারের সময় কোনও কারণ দেখানো হয়নি। যে নির্দেশে শীর্ষ আদালতের রায়কে সরাসরি লঙ্ঘন করা হয়েছে। যে প্রসঙ্গে আদালত জানায় ইউএপিএ আইনে গ্রেপ্তারির সময় কারণ দেখানো বাধ্যতামূলক নয়।
উল্লেখ্য, এই মাসের ৩ তারিখ নিউজক্লিকের অফিস ও একাধিক কর্মীর বাড়িতে তল্লাশি অভিযান চালানোর পর গ্রেপ্তার করা হয় সংস্থার এডিটর প্রবীর পুরকায়স্থ এবং এইচ আর প্রধান অমিত চক্রবর্তীকে। ৪ অক্টোবর তাঁদের ৭ দিনের পুলিশি হেফাজতে পাঠানো হয়।
নিউ ইয়র্ক টাইমসে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে তাঁদের বিরুদ্ধে অর্থের বিনিময়ে চিনের পক্ষে সংবাদ প্রকাশের অভিযোগ আনা হয়। এফআইআর অনুসারে চিনের পক্ষে সংবাদ প্রকাশের জন্য নিউজক্লিককে বেআইনিভাবে অর্থ দেওয়া হয়েছে। আমেরিকা নিবাসী ব্যবসায়ী নেভেলি রায় সিংঘম মারফত এই অর্থ নিউজক্লিকে এসেছে বলে ওই এফআইআর-এ বলা হয়।
এক বিবৃতি জারি করে এই অভিযোগ অস্বীকার করে নিউজক্লিক।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন