আমেরিকার সবথেকে বড় সংবাদপত্র মণীশ সিসোদিয়ার কাজের প্রশংসা করছে আর মোদী সরকার তাঁর বাড়িতে সিবিআই পাঠাচ্ছে। দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী তথা আপ নেতা মণীশ সিসোদিয়ার বাড়িতে সিবিআই হানার ঘটনায় কেন্দ্রকে এভাবেই আক্রমণ করলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী তথা আপ প্রধান অরবিন্দ কেজরিওয়াল।
শুক্রবার সকালে দিল্লির শিক্ষামন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়ার বাড়িতে তল্লাশি চালায় কেন্দ্রীয় সংস্থা সিবিআই। দিল্লি আবগারি নীতি ২০২১-২২-এ অনিয়মের অভিযোগে এই তল্লাশি চালানো হয়েছে। মণীশ সিসোদিয়ার বাড়ি ছাড়াও দিল্লিতে আরও ১০টি জায়গায় তল্লাশি চালিয়েছে সিবিআই।
অন্যদিকে আজই আমেরিকার বিখ্যাত সংবাদপত্র নিউইয়র্ক টাইমসের প্রথম পাতায় দিল্লি সরকারের শিক্ষা ব্যবস্থার ভূয়সী প্রশংসা করা হয়েছে। শিক্ষামন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়ার ছবিও দেওয়া হয়েছে। নিজের টুইটারে প্রতিবেদনটি পোস্ট করে কেজরিওয়াল লেখেন, "দিল্লি ভারতকে গর্বিত করেছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় সংবাদপত্রের প্রথম পাতায় দিল্লি মডেল। মণীশ সিসোদিয়া স্বাধীন ভারতের সেরা শিক্ষামন্ত্রী।"
এরপরের একটি টুইটে তিনি লিখলেন, "যেদিন আমেরিকার সবথেকে বড় সংবাদপত্র নিউইয়র্ক টাইমসের প্রথম পাতায় দিল্লির শিক্ষা মডেলের প্রশংসা করা হলো, মণীশ সিসোদিয়ার ছবি ছাপা হলো, সেদিনই মণীশের বাড়িতে সিবিআই পাঠালো কেন্দ্র। সিবিআইকে স্বাগত। আমরা সম্পূর্ণ সহযোগিতা করবো। এর আগেও একাধিকবার তল্লাশি চালানো হয়েছে। কিছু পাওয়া যায়নি। এবারও কিছু পাওয়া যাবে না।"
কেন্দ্রকে আক্রমণ করে কেজরিওয়াল আরও লেখেন, "দিল্লির শিক্ষা ও স্বাস্থ্য মডেল নিয়ে গোটা বিশ্ব আলোচনা করছে। তারা (কেন্দ্র সরকার) এটা বন্ধ করতে চায়। তাই দিল্লির স্বাস্থ্য ও শিক্ষামন্ত্রীদের বাড়িতে তল্লাশি চালানো হচ্ছে, তাঁদের গ্রেফতার করা হচ্ছে। গত ৭৫ বছরে, যারাই ভালো কাজ করার চেষ্টা করেছে, তাঁদের থামিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাই ভারত এখনও পিছিয়ে রয়েছে।কিন্তু দিল্লির উন্নয়ন বন্ধ হতে দেব না।"
প্রসঙ্গত, দিল্লির স্বাস্থ্যমন্ত্রী সত্যেন্দ্র জৈন আর্থিক তছরূপ মামলায় গত এক মাসেরও বেশি সময় ধরে ইডি হেফাজতে রয়েছেন।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন