সিএএ-বিরোধী কর্মী অখিল গগৈকে সমস্ত অভিযোগ থেকে মুক্তি দিল এনআইএ'র একটি বিশেষ আদালত। তাঁর তিন সহযোগীকেও সমস্ত অভিযোগ থেকে মুক্তি দিয়েছে আদালত। জেল থেকে ছাড়া পেয়েছেন অখিল গগৈ। তাঁর তিন সহযোগী ইতিমধ্যেই জামিনে মুক্ত রয়েছেন।
জেল থেকে বেরিয়েই অখিল গগৈ বলেন, "স্বাধীন বিচার ব্যবস্থায় আজকের দিনটি ঐতিহাসিক দিন।"
২০১৯ সালের ডিসেম্বর মাসে আসামের চাবুয়াতে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন(সিএএ)-এর বিরুদ্ধে হওয়া প্রতিবাদে অংশ নেওয়ার জন্য অখিল গগৈ ও তাঁর তিন সহযোগী - ধৈর্য্য কোনওয়ার, মানস কোনওয়ার এবং বিট্টু সোনেয়াকে গ্রেফতার করে ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি বা এনআইএ। চারজনের বিরুদ্ধেই Unlawful Activities (Prevention) Act, ১৯৬৭ অনুযায়ী দুটি মামলা দায়ের করা হয়। একটি মামলা সিএএ বিরোধী আন্দোলনে অংশ নেওয়ার জন্য এবং অপর মামলাটি মাওবাদীদের সাথে যোগাযোগ থাকার অভিযোগে। সেই থেকেই জেলে বন্দি ছিলেন অখিল গগৈ।
গত ২২ জুন প্রথম মামলা থেকে অখিল গগৈকে মুক্তি দেয় এনআইএ'র আদালত। অপর মামলায় বিশেষ আদালতের বিচারক প্রাঞ্জল দাস আসামের নির্দল বিধায়কের বিরুদ্ধে কোনো চার্জই গঠন করতে পারেননি। ফলে মোট চার অভিযুক্তকেই মুক্তি দিয়েছে আদালত।
প্রসঙ্গত, জেলবন্দী অবস্থাতেই গত বছর রাইজোর দল নামে নিজের একটি রাজনৈতিক দল গঠন করেন অখিল গগৈ। জেলে থেকেই একুশের বিধানসভা নির্বাচনে শিবসাগর আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন এবং বিধায়ক নির্বাচিত হন তিনি। তিনিই একমাত্র বিধায়ক যিনি শারীরিকভাবে কোনো সভায় উপস্থিত না থেকে বিধায়ক নির্বাচিত হয়েছেন। যদিও তাঁকে 'মানসিক ভারসাম্যহীন' অ্যাখ্যা দিয়ে বিধানসভার অধিবেশনে যোগ দিতে দেননি মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত বিশ্ব শর্মা। যার প্রতিবাদে সরব হয়েছিলো আসামের বিভিন্ন বিরোধী রাজনৈতিক দল।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন