বিজেপির অস্বস্তি বাড়িয়ে পেগাসাস কেলেঙ্কারিতে বিরোধীদের পাশে দাঁড়ালেন জেডি(ইউ) প্রধান তথা বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমার। বিজেপির জোটসঙ্গীদের তিনিই প্রথম যিনি এই কেলেঙ্কারির তদন্তের দাবি তুললেন।
সংবাদসংস্থায় প্রকাশিত খবর অনুযায়ী নীতিশ কুমার আজ বলেছেন পেগাসাস কান্ডে তদন্ত হওয়া উচিত এবং বিষয়টি নিয়ে সংসদেও আলোচনা করা উচিত। তিনি বলেছেন, "অবশ্যই একটি তদন্ত হওয়া উচিত। আমরা এতোদিন ধরে টেলিফোন ট্যাপিংয়ের কথা শুনে আসছি। বিষয়টি নিয়ে সংসদে আলোচনা করা উচিত। জনগণ (বিরোধীরা) বহুদিন ধরে বিষয়টি নিয়ে আলোচনার দাবি তুলছেন, এটা হওয়া উচিত।"
জোটসঙ্গীকে অপ্রস্তুতিতে ফেলে নীতিশ কুমার আরো বলেন, "মানুষকে বিরক্ত করা, হয়রানি করা - এই ধরনের কাজ করা উচিত নয়। পুরো বিষয়টি প্রকাশ্যে আনা উচিত।"
১৮ জুলাই বাদল অধিবেশন চালুর আগের দিন ভারতের একটি স্বতন্ত্র অনলাইন নিউজ পোর্টাল দাবি করে, পেগাসাস সফ্টওয়্যার ব্যবহার করে লোকসভা নির্বাচনের সময় দেশের একাধিক বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতা, সাংবাদিক, সমাজকর্মী, ব্যবসায়ীদের ফোন হ্যাক করা হয়েছিল। এক ইজরায়েলি সংস্থা এই সফ্টওয়্যার ভারত সরকারকে বিক্রি করেছিল। অধিবেশন চালুর দিন থেকে পেগাসাস নিয়ে সংসদে আলোচনা চাইছে বিরোধীরা এবং সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতির নেতৃত্বে স্বাধীন তদন্তের দাবি তুলছেন তাঁরা।
কিন্তু সরকার প্রতিবারই তাঁদের দাবি খারিজ করে দিয়েছে। কেন্দ্রীয় আইটি মন্ত্রী সংসদের উভয় কক্ষে বলেছেন, পেগাসাস নিয়ে যে দাবি করা হচ্ছে তা ভিত্তিহীন, সম্পূর্ণ মিথ্যা। প্রথম দিন থেকেই বিজেপি ফোনে আড়িপাতার বিষয়টিকে "নন-ইস্যু" হিসেবে দেখাতে চাইছে।
এর আগেও পেগাসাস প্রসঙ্গে বিরোধীদের পাশেই দাঁড়িয়েছিলেন নীতিশ কুমার। এভাবে কারো ফোনে আড়ি পাতা ঠিক নয় বলে মন্তব্য করেছিলেন তিনি।
বৃহস্পতিবার থেকে সুপ্রিম কোর্টে এই কান্ডের তদন্ত শুরু হবে। দুই সিনিয়র সাংবাদিক এন রাম ও সশী কুমার, সিপিআইএম সাংসদ জন বৃত্তাস এবং আইনজীবী এম এল শর্মা পেগাসাস নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের করেছেন।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন