নীতি আয়োগের বৈঠকে অনুপস্থিত বিহারের মুখ্যমন্ত্রী তথা এনডিএ-র জোটসঙ্গী নীতিশ কুমার। ঠিক কী কারণে তিনি এই বৈঠকে আসেননি তা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে।
শনিবার দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সভাপতিত্বে নীতি আয়োগের বৈঠক আয়োজিত হয়। সমস্ত বিজেপি শাসিত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরা উপস্থিত ছিলেন সেই বৈঠকে। সূত্র মারফত জানা গেছে, সমস্ত এনডিএ শাসিত রাজ্যগুলির মুখ্যমন্ত্রীদের সভায় অংশ নিতে এবং তাদের সরকারের জনকল্যাণমূলক কাজগুলো বৈঠকে তুলে ধরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। এনডিএ-র জোটসঙ্গী তথা টিডিপি প্রধান চন্দ্রবাবু নাইডুও বৈঠকে হাজির ছিলেন। কিন্তু দেখা যায়নি নীতিশ কুমারকে।
নীতিশ কুমারের বদলে বিহার থেকে উপস্থিতি ছিলেন উপ মুখ্যমন্ত্রী সম্রাট চৌধুরী এবং বিজয় কুমার সিনহা। তবে নীতিশ কুমারের অনুপস্থিত থাকার কারণ জানা যায়নি।
জেডিইউ মুখপাত্র নীরজ কুমার সর্বভারতীয় এক সংবাদ সংস্থায় জানান, "নীতিশ কুমার আগেও নীতি আয়োগের বৈঠকে যোগ দেননি। সেই সময়ও তাঁর ডেপুটি বৈঠকে বিহারের প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন। এবারেও সেটা হয়েছে। তাছাড়া নীতি আয়োগের সদস্য হিসেবে বিহার থেকে চার জন আছেন। তাঁরাও উপস্থিত ছিলেন বৈঠকে"।
অন্যদিকে নীতি আয়োগের বৈঠকে গিয়ে অপমানিত হওয়ার অভিযোগের বৈঠক ছেড়ে বেরিয়ে আসেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। বাইরে বেরিয়ে সংবাদমাধ্যমের সামনে তিনি জানান, "আমি আমার দাবিগুলো বলার সাথে সাথেই আমার মাইক বন্ধ করে দেওয়া হয়। আমি বললাম কেন আমাকে থামাচ্ছেন? একমাত্র বিরোধী হিসেবে আমি যোগদান করেছি বৈঠকে। আপনাদের খুশি হওয়ার কথা। কিন্তু আপনারা মাইক বন্ধ করে দিচ্ছেন। আমাকে অপমান করছেন। আপনাদের বঞ্চনা আমি মানি না। তাই আমি চললাম"।
কেন্দ্রীয় বাজেটে বঞ্চনার অভিযোগ তুলে ইন্ডিয়া জোটের মুখ্যমন্ত্রীরা আগেই বৈঠক বয়কটের ডাক দিয়েছিলেন। এই তালিকায় রয়েছেন তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এম কে স্ট্যালিন, কেরালার মুখ্যমন্ত্রী ও সিপিআই (এম) নেতা পিনারাই বিজয়ন, পুদুচেরির মুখ্যমন্ত্রী এন রাঙ্গাসামি, পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী তথা আপ নেতা ভগবন্ত মান এবং কংগ্রেসের ৩ মুখ্যমন্ত্রী। কর্ণাটকের সিদ্দারামাইয়া, হিমাচল প্রদেশের সুখবিন্দর সিং সুখু এবং তেলেঙ্গানার রেভান্থ রেড্ডি।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন