জমি কেলেঙ্কারি মামলায় কর্ণাটক হাইকোর্টে স্বস্তি পেলেন কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া। আপাতত তাঁর বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ নিতে পারবে না নিম্ন আদালত। আগামী ২৯ আগস্ট পর্যন্ত অন্তর্বর্তীকালীন রক্ষাকবচ দিয়েছে আদালত।
মাইসুরু নগরোন্নয়ন বিভাগের জমি কেলেঙ্কারি মামলায় এখনই কোনও পদক্ষেপ নয়। রাজ্যপাল থাওয়ার চাঁদ গেহলট মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের অনুমতি দিয়েছিলেন। সেই অনুমতিক্রমেই মামলা শুরু হয় নিম্ন আদালতে। কিন্তু কর্ণাটক হাইকোর্ট জানিয়ে দেয় আগামী ২৯ আগস্ট পর্যন্ত মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে কোনও কঠোর পদক্ষেপ নিতে পারবে না নিম্ন আদালত।
রাজ্যপালের নির্দেশের পরই কর্ণাটক হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন সিদ্দারামাইয়া। তিনি রক্ষাকবচের দাবি করেছিলেন আদালতে। পাশাপাশি এও জানান, তাঁর বিরুদ্ধে রাজনৈতিক চক্রান্ত করা হচ্ছে। কংগ্রেসের অনেকেই এই ঘটনাকে বিজেপির ষড়যন্ত্র বলে অভিযোগ করছেন।
প্রসঙ্গত, জমি কেলেঙ্কারিতে নাম জড়ায় মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়ার। স্নেহময়ী কৃষ্ণ নামের এক সমাজকর্মী মুখ্যমন্ত্রীর স্ত্রী পার্বতী এবং শ্যালক মল্লিকার্জুনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। তিনি জানান, মাইসুরু নগরোন্নয়ন বিভাগের (মুডা) জমি অবৈধভাবে বিলি করা হয়েছে। এই দুর্নীতির সাথে মুখ্যমন্ত্রীর স্ত্রী এবং শ্যালক জড়িতে রয়েছেন। তাঁদের দু'জনকে বেআইনি ভাবে জমি পাইয়ে দেওয়া হয়েছে। এর নিরপক্ষ তদন্ত হওয়া উচিত।
এই অভিযোগের ভিত্তিতে সিদ্দারামাইয়ার পদত্যাগের দাবি তুলেছে বিজেপি। এই প্রসঙ্গে সিদ্দারামাইয়া বলেছিলেন, ‘‘সব দলেরই প্রতিবাদ, বিক্ষোভ করা রাজনীতির অঙ্গ। ওরা (বিজেপি) আন্দোলন করুক। আমি স্বচ্ছ। বিচার বিভাগের উপর আমার পূর্ণ আস্থা রয়েছে। আমি নিশ্চিত, রাজ্যপালের নির্দেশের উপর স্থগিতাদেশ দেবে আদালত।’’
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন