এমএসপি (MSP) ইস্যুতে কৃষক ইউনিয়নগুলি সরকারকে আল্টিমেটাম দেওয়ার একদিন পরে, রবিবার কংগ্রেসও এই ইস্যুতে সরব হল। কংগ্রেসের মুখপাত্র জয়বীর শেরগিল বলেছেন, “কেন এমএসপি আইন পাস করা হচ্ছে না? কেন লখিমপুর খেরি মামলায় মন্ত্রীকে বরখাস্ত করা হচ্ছে না? কেন কৃষক ইউনিয়নকে বৈঠকের জন্য ডাকা হচ্ছে না? কৃষি আইন প্রত্যাহার নিছক নির্বাচনী স্টান্টে পরিণত হয়েছে। শেষ পর্যন্ত কৃষি আইন প্রত্যাহারের দিন (১৯ নভেম্বর) ‘ধোঁকা দিবসে’ পরিনত পরিনত হবে?”
শনিবার সংযুক্ত কিষাণ মোর্চা (এসকেএম) অভিযোগ করেছিল যে এমএসপি ইস্যুতে কোনও অগ্রগতি নেই। কৃষক নেতা যুধবীর সিং সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন – “কোন অগ্রগতি হয়নি। ন্যূনতম সহায়ক মূল্য (এমএসপি) নিয়ে কোনও কমিটি গঠন করা হয়নি। হরিয়ানায় কৃষকদের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহারের বিষয়ে শুধুমাত্র কিছু পদক্ষেপ রয়েছে, তবে দিল্লি সহ অন্যান্য রাজ্যে খুব বেশি অগ্রগতি হয়নি। বিদ্যুৎ বিলের বিষয়ে আমাদের দাবি নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি।”
উল্লেখ্য, লখিমপুর খেরিতে গত বছরের ৪ অক্টোবর কৃষক এবং একজন সাংবাদিক সহ প্রায় ৬ জনকে একটি দ্রুতগামী গাড়ির দ্বারা চাপা দেওয়া হয়েছিল। এই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী অজয় মিশ্র টেনির ছেলে। কৃষকদের পক্ষ থেকে টেনি ও তার ছেলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানালেও এখনও কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।
মোর্চার পক্ষ থেকে শনিবার জানানো হয়েছে সরকার যদি তাদের দাবির প্রতি সমর্থন না জানায় তবে আগামী ১ ফেব্রুয়ারি থেকে ‘মিশন ইউপি’ আন্দোলন শুরু করে আবার লড়াইয়ের ময়দানে নামা হবে। পাশাপাশি, ২৩ এবং ২৪ ফেব্রুয়ারি শ্রমিক সংগঠনগুলির সর্বভারতীয় ধর্মঘটে সমর্থন জানানোর কথা ঘোষণা করেছে। কারণ তাদের দাবিগুলির মধ্যে এমএসপি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে এবং শ্রমিক সংগঠনগুলির পক্ষেও কৃষকদের আন্দোলনকে সমর্থন জানানো হয়েছিলো।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন