কেন্দ্রীয় সরকার আজ বলেছে যে কৃষকদের বছরব্যাপী বিক্ষোভ চলাকালীন পুলিশি পদক্ষেপের কারণে কোনও কৃষক মারা যায়নি। রাজ্যসভায় লিখিত উত্তরে, কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমর আজ বলেছেন, “কৃষক আন্দোলনে মৃত কৃষক পরিবারদের ক্ষতিপূরণ ইত্যাদির বিষয়টি সংশ্লিষ্ট রাজ্য সরকারের এক্তিয়ারে। কৃষকদের আন্দোলনের সময় পুলিশি হস্তক্ষেপের ফলে কোনও কৃষক মারা যায়নি।”
কংগ্রেস নেতা ধীরাজ প্রসাদ সাহু এবং আপ নেতা সঞ্জয় সিং-এর একটি যৌথ প্রশ্নের জবাব দিচ্ছিলেন কেন্দ্রীয় কৃষি মন্ত্রী। তাঁরা জিজ্ঞাসা করেছিলেন যে, সরকার মারা যাওয়া কৃষকদের পরিবারের জীবিকা নির্বাহের জন্য আর্থিক ক্ষতিপূরণ দেওয়ার পরিকল্পনা অথবা কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে কিনা!
ফসলের সহায়ক মূল্যের প্রসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন – “দেশের পরিবর্তিত চাহিদা অনুযায়ী ফসলের ধরণ পরিবর্তন করতে এবং এমএসপিকে আরও কার্যকর ও স্বচ্ছ করার জন্য একটি কমিটি গঠনের বিষয়টি বিবেচনাধীন রয়েছে।” স্বামীনাথন কমিশনের সুপারিশ অনুসারে সরকার প্রতিটি ফসলের এমএসপি ( MSP ) গ্যারান্টি দেওয়ার জন্য আইন আনার প্রস্তাব করেছে কিনা জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, সরকার ২০১৮-১৯ সালে কৃষকদের জাতীয় কমিশন (এনসিএফ) –এর করা সুপারিশটি ইতিমধ্যেই বাস্তবায়ন করেছে।
প্রসঙ্গত, এর আগেও কৃষিমন্ত্রী দাবি করেছিলেন সরকারের কাছে মৃত কৃষকদের কোনও তথ্য নেই। সুতরাং ক্ষতিপূরণ দেওয়ার প্রশ্ন আসে না। আজ সেই একই কথা বললেন, তবে একটু ঘুরিয়ে। পুলিশি পদক্ষেপে কোনও কৃষকের মৃত্যু হয়নি বলে জানালেন সংসদে। ইতিমধ্যে অবশ্য সংযুক্ত কৃষক মোর্চার নেতৃত্ব কেন্দ্রীয় সরকারকে মৃত কৃষকদের তালিকা পাঠিয়ে দিয়েছে।
এই প্রসঙ্গে উল্লেখ্য, কৃষকদের প্রায় সব দাবি ইতিমধ্যে মেনে নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। মৃত কৃষক পরিবারদের ক্ষতিপূরণ, ন্যূনতম সহায়ক মূল্যের গ্যারান্টি, সমস্ত কৃষকদের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মামলা প্রত্যাহার সহ কৃষকদের একাধিক দাবি কেন্দ্রীয় সরকার লিখিতভাবে মেনে নেওয়ার পরেই আন্দোলন প্রত্যহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কৃষকরা। এরইমধ্যে কৃষিমন্ত্রীর এমন মন্তব্য বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। তবে কী প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করবে কেন্দ্র? উঠছে প্রশ্ন।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন