কেন্দ্রশাসিত লাদাখে গত তিন বছরে বিনিয়োগ করেনি কোনও সংস্থা, স্বপ্নভঙ্গের যন্ত্রণায় স্থানীয়রা

গত তিন বছরে জম্মু-কাশ্মীরে জমি কিনেছেন মোট ১৮৫ জন বহিরাগত। কিন্তু, সেখানে লাদাখে গত তিন বছরে জমিও কেনেননি কেউ।
লাদাখে গত তিন বছরে বিনিয়োগ করেনি কোনও সংস্থা
লাদাখে গত তিন বছরে বিনিয়োগ করেনি কোনও সংস্থাপ্রতীকী ছবি
Published on

কেন্দ্রশাসিত লাদাখে গত ৩ বছরে বিনিয়োগ করেনি দেশি-বিদেশি কোনও বহুজাতিক সংস্থা। সম্প্রতি, রাজ্যসভায় এই তথ্য জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিত্যানন্দ রাই।

গত বৃহস্পতিবার, সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কাছে দুটি প্রশ্ন করেছিলেন জনতা দলের (ইউনাইটেড) সাংসদ রাম নাথ ঠাকুর। তিনি জানতে চেয়েছিলেন-

(ক) গত তিন বছরে জম্মু ও কাশ্মীর এবং লাদাখে বহিরাগত কতজন জমি কিনেছেন - সাল অনুযায়ী তাঁদের সংখ্যা ও বিবরণ এবং

(খ) এই সময়কালের মধ্যে কতগুলি ভারতীয় কোম্পানি এবং বহু-জাতিক কোম্পানি বিনিয়োগ করেছে এবং কতগুলি শিল্পে বিনিয়োগ হয়েছে? বছর অনুসারে সেই বিবরণ কী?

জবাবে, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিত্যানন্দ রাই জানান, ২০২০ সালে জম্মু-কাশ্মীরে জমি কিনেছিলেন মাত্র একজন। ২০২১ সালে ৫৭ জন, এবং ২০২২ সালে ১২৭ জন। অর্থাৎ, গত তিন বছরে জম্মু-কাশ্মীরে জমি কিনেছেন মোট ১৮৫ জন বহিরাগত। কিন্তু, সেখানে লাদাখে গত তিন বছরে জমিও কেনেননি কেউ।

একইসঙ্গে, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী জানান, জম্মু-কাশ্মীরে গত তিন বছরে বিনিয়োগ করেছে ১৫৫৯ টি সংস্থা। এর মধ্যে, ২০২০-২১ আর্থিক বছরে বিনিয়োগ করেছে ৩১০ টি সংস্থা, ২০২১-২২-এ ১৭৫ টি সংস্থা, এবং ২০২২-২৩ আর্থিক বছরে ১০৭৪ টি সংস্থা বিনিয়োগ করেছে কেন্দ্রশাসিত জম্মু-কাশ্মীরে। তবে, ভিন্ন চিত্র লাদাখের ক্ষেত্রে। সেখানে গত ৩ বছরে ভারতীয় বা কোনও বহুজাতিক সংস্থা বা কোম্পানি বিনিয়োগ করেনি।

২০২০ সালের অক্টোবর মাসে লাদাখের স্বায়ত্ত্বশাসিত পর্বত উন্নয়ন পর্ষদের নির্বাচনে বিজেপি জেতার পর, কেন্দ্র ঘোষণা করে, এখন থেকে কাশ্মীরের বাসিন্দা নন, এমন ব্যক্তিও কাশ্মীরে জমি কিনতে পারবেন। সরকারের এই ঘোষণায় তুমুল চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। পড়শি লাদাখেও একই নিয়ম চালু হবে কিনা, প্রশ্ন ওঠে। সেই আশঙ্কাও সত্যি হয়। তবে নিয়ম চালু হলেও লাদাখে জমি কিনতে আগ্রহী নন কেউ।

সরকারের যুক্তি, ২০১৯ সালে জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহারের পর এই এলাকার অর্থনীতি উন্নত করতেই এই পদক্ষেপ। কাশ্মীরে জমির মালিকানা স্বত্ত্ব সংক্রান্ত নিয়মকানুন পরিবর্তনও এই বিশেষ মর্যাদা লোপের সঙ্গে সম্পর্কিত।

তবে, কর্মসংস্থান ও রোজকার জীবনের সঙ্গে জড়িয়ে থাকা নানা গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে সরকারের উপর ক্ষুব্ধ লাদাখবাসী। তাঁদের মতে, কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল মানে আরও একটি আমলাতন্ত্র কিন্তু কর্মসংস্থানের সুযোগ এখানে কম।

লাদাখে গত তিন বছরে বিনিয়োগ করেনি কোনও সংস্থা
জাতীয় দলের তকমা হারাল তৃণমূল, কমিশনের বিরুদ্ধে আইনি পথে লড়াইয়ে যেতে পারে মমতার দল

স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in