‘মেয়েদের যৌন ইচ্ছে নিয়ে ব্যক্তিগত মতামত দিতে পারেন না কোনও বিচারক’ - সুপ্রিম কোর্ট

People's Reporter: গত অক্টোবরে পকসো আইনে ২০ বছরের সাজাপ্রাপ্ত ওই যুবককে বেকসুর খালাস করে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি চিত্তরঞ্জন দাস এবং বিচারপতি পার্থসারথি সেনের ডিভিশন বেঞ্চ।
সুপ্রিম কোর্ট
সুপ্রিম কোর্ট ফাইল ছবি সংগৃহীত
Published on

মেয়েদের উচিত যৌন চাহিদাকে নিয়ন্ত্রণ করা। কিশোরীর ধর্ষণ মামলায় এমনই মন্তব্য করেছিল কলকাতা হাইকোর্ট। আজ শুক্রবার হাইকোর্টের সেই রায়ের সমালোচনা করল সুপ্রিম কোর্ট। পাশপাশি, এই মামলায় শীর্ষ আদালতের তরফ থেকে নোটিশ পাঠানো হল কলকাতা হাইকোর্টে। এই মামলার পরবর্তী শুনানির দিন আগামী ৪ জানুয়ারি।

প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালে বারুইপুরে এই ঘটনাটি ঘটে। এক কিশোরীর সঙ্গে ‘সম্পর্ক’ ছিল এক যুবকের। সম্পর্কে থাকাকালীন ওই কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে যুবকের বিরুদ্ধে। গত অক্টোবরে পকসো আইনে ২০ বছরের সাজাপ্রাপ্ত ওই যুবককে বেকসুর খালাস করে কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি চিত্তরঞ্জন দাস এবং বিচারপতি পার্থসারথি সেনের ডিভিশন বেঞ্চ।

 রায় ঘোষণা করার সময় হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ ছিল, কিশোরীদেরকে যৌন চাহিদা নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। দু’মিনিটের সুখ নয়, বরং নিজেদের চাহিদার নিয়ন্ত্রণে কিশোর-কিশোরীদের মর্যাদা বাড়বে। কিশোরী এবং মহিলাদের যে কর্তব্যের কথা হাইকোর্ট জানিয়েছে, তাকে সম্মান করতে হবে। বিচারপতিদের মতে, কিশোরদেরও উচিত মেয়েদের শরীর ও তাঁদের মর্যাদা, আত্মসম্মানের কথা খেয়াল রাখা। 

বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্ট কলকাতা হাইকোর্টের অক্টোবরে দেওয়া ওই পর্যবেক্ষণের প্রতি স্বতঃপ্রণোদিত দৃষ্টিভঙ্গি নিয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি অভয় ওকা এবং বিচারপতি পঙ্কজ মিথালের ডিভিশন বেঞ্চে আজ ছিল মামলাটির শুনানি। শুনানি চলাকালীন সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণ, এই ধরনের মামলায় কিশোরীদের যৌন ইচ্ছে নিয়ে কোনও বিচারক তাঁর ব্যক্তিগত মত প্রকাশ করতে পারেন না।

সুপ্রিম কোর্ট
Mahua Moitra: "আদিম হিংস্র মানবিকতার যদি আমি কেউ হই..." - সংসদ থেকে বহিষ্কৃত হয়েই হুঙ্কার মহুয়ার

স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in