প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ডিগ্রি কাউকে দেখানোর প্রয়োজন নেই। শুক্রবার, এমনই রায় দিয়েছে গুজরাট হাইকোর্ট। একইসঙ্গে, মোদীর ডিগ্রি দেখার দাবি তোলায় দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করেছে উচ্চ আদালত।
সম্প্রতি, প্রধানমন্ত্রী মোদীর ডিগ্রি প্রকাশ্যে আনার দাবি তোলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। তাঁর আবেদনের ভিত্তিতে, ২০১৬ সালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর স্নাতক ডিগ্রি সম্পর্কে গুজরাট বিশ্ববিদ্যালয় (Gujarat University) ও প্রধানমন্ত্রীর দফতর (PMO)-কে বিস্তারিত তথ্য জানানোর নির্দেশ দেয় মুখ্য তথ্য কমিশন (Chief Information Commission)। পরে এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে গুজরাট হাইকোর্টে মামলা দায়ের করে গুজরাট বিশ্ববিদ্যালয়। উভয়পক্ষের আইনজীবীর বক্তব্য শোনার পর গত ফেব্রুয়ারি মাসে মামলার রায় সংরক্ষিত রাখা হয়।
শুক্রবার, সেই রায় দিতে গিয়ে মুখ্য তথ্য কমিশনের নির্দেশ খারিজ করে দিয়েছে গুজরাট হাইকোর্টের বিচারপতি বীরেন বৈষ্ণবের সিঙ্গল বেঞ্চ। একইসঙ্গে, প্রধানমন্ত্রী ডিগ্রি প্রকাশ করার জন্য সরব হওয়ায় কেজরিওয়ালকে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
নির্বাচনী হলফনামায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর দেওয়া তথ্য অনুসারে, তিনি ১৯৭৮ সালে গুজরাট বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক এবং ১৯৮৩ সালে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর পাশ করেছেন।
এদিন আদালতে সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা বলেন, 'গণতন্ত্রে একজন ডক্টরেট এবং শিক্ষাগত যোগ্যতাহীন ব্যক্তির মধ্যে কোনও পার্থক্য নেই। এছাড়া, এই ইস্যুতে কোনও জনস্বার্থ জড়িত নেই। উপরন্তু এতে প্রধানমন্ত্রী ব্যক্তি স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করা হচ্ছে। জনপ্রতিনিধি হিসেবে প্রধানমন্ত্রীর ভূমিকার সঙ্গে তাঁর ডিগ্রির কোনও সম্পর্ক নেই। কারও শিশুসুলভ কৌতূহলের জন্য প্রধানমন্ত্রীর ডিগ্রি দেখানোর প্রয়োজন পড়ে না।'
জবাবে, অরবিন্দ কেজরিওয়ালের পক্ষের আইনজীবী পার্সি ক্যাভিনা বলেন, 'এই আবেদন মোটেই শিশুসুলভ কৌতূহল নয়। আমরা প্রধানমন্ত্রীর ডিগ্রি সার্টিফিকেট দেখতে চেয়েছি। মার্কশিট নয়।'
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন