করোনার দ্বিতীয় ঢেউ ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে দেশে। গত কয়েকদিন ধরেই দৈনিক সংক্রমণ দেড় লাখের উপরে থাকছে। এই অবস্থায় উত্তরাখন্ডের হরিদ্বারে শুরু হয়েছিল কুম্ভ মেলা, যেখানে লক্ষ লক্ষ পুণ্যার্থীর সমাগমে শিকেয় উঠলো কোভিড বিধি। ইতিমধ্যেই শতাধিক জন পুণ্যার্থীর করোনা আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এই সংখ্যা আরো বাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে।
সোমবার ছিল এই মেলার দ্বাদশ দিন। সূত্রের খবর এদিন গঙ্গা নদীতে শাহী স্নানের জন্য ২৮ লক্ষেরও বেশি পুণ্যার্থীর সমাগম ঘটেছিল। প্রশাসনের তরফ থেকে সেখানেই কোভিড টেস্টের আয়োজন করা হয়েছিল। মেডিক্যাল বিভাগের কর্মকর্তাদের মতে, রবিবার রাত সাড়ে এগারোটা থেকে সোমবার বিকেল ৫টা পর্যন্ত এই বিপুল সংখ্যক পুণ্যার্থীদের মধ্যে মাত্র ১৮ হাজার ১৬৯ জনের কোভিড পরীক্ষা করা হয় হয়েছে। এদের মধ্যে ১০২ জনের শরীরে করোনা ভাইরাস উপস্থিতি ধরা পড়েছে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের এক প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, হরিদ্বার স্টেশন থেকে গঙ্গার ঘাট পর্যন্ত ১০ কিমি রাস্তার মধ্যে কোথাও থার্মাল স্ক্রিনিংয়ের কোনো ব্যবস্থা ছিল না। এই রাস্তার মধ্যেই পড়ে বিখ্যাত হর কি পৌরি ঘাট, যেখানে লক্ষাধিক ভক্তের সমাগম হয়েছিল, সেখানেও কোনো থার্মাল স্ক্রিনিংয়ের ব্যবস্থা ছিল না। অধিকাংশ ভক্তের মুখেই ছিল না কোনো মাস্ক।
কুম্ভ মেলায় আসার জন্য RT-PCR রিপোর্ট নেগেটিভ হওয়া বাধ্যতামূলক ছিল। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের দাবি, অধিকাংশ পুণ্যার্থীর কাছেই এই রিপোর্ট ছিল না। কোভিড বিধি লঙ্ঘন করলেও কারো বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলেও দাবি করা হয়েছে ওই প্রতিবেদনে। আবার যাঁদের কাছে RT-PCR রিপোর্ট ছিল, তাঁদের অনেকেই মেলার মধ্যে থার্মাল স্ক্রিনিং না করার জন্য প্রশাসনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
তবে এক্ষেত্রে কুম্ভ মেলার আইজি সঞ্জয় গুঞ্জাল জানিয়েছেন, ভিড় নিয়ন্ত্রণের জন্য মেলার মধ্যে থার্মাল স্ক্রিনিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়নি।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন