কোনো মৌলিক অধিকারই চূড়ান্ত নয়। হোয়াটস অ্যাপের করা গোপনীয়তা রক্ষার অধিকার মামলায় এই জবাব দিল কেন্দ্র সরকার। সরকারের কথায়, সব ক্ষেত্রেই যুক্তিসঙ্গত বিধিনিষেধ থাকা প্রয়োজন।
প্রসঙ্গত, সোশ্যাল মিডিয়ায় রাশ টানতে গত ফেব্রুয়ারি মাসে একগুচ্ছ নির্দেশিকা জারি করেছিল ভারত সরকার। এই নির্দেশ অনুযায়ী সোশ্যাল মিডিয়ায় কোনো ব্যবহারকারী কিছু লিখলে বা ভিডিও প্রকাশ করলে তার যাবতীয় তথ্য সরকারকে জানাতে বাধ্য থাকবে সংশ্লিষ্ট সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলি।
এই নির্দেশিকা কার্যকরের জন্য তিন মাস সময় দিয়েছিল সরকার। মঙ্গলবার সেই সময়সীমা শেষ হয়। বুধবার অর্থাৎ আজ থেকে এই নিয়ম লাগু হয়েছে দেশে। কিন্তু এর আগেই মঙ্গলবার এই নির্দেশিকাকে 'অসাংবিধানিক' দাবি করে সরকারের বিরুদ্ধে দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে জনপ্রিয় মেসেজিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটসঅ্যাপ। তাদের অভিযোগ, এর ফলে গ্রাহকদের গোপনীয়তা বিঘ্নিত হবে।
হোয়াটসঅ্যাপের এই যুক্তি খন্ডন করে কেন্দ্রীয় তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ বলেছেন, "ভারত সরকার তার সমস্ত নাগরিকের গোপনীয়তা রক্ষার অধিকার নিশ্চিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। পাশাপাশি আইন শৃঙ্খলা নিশ্চিত করতে ও জাতীয় নিরাপত্তা বজায় রাখতে প্রয়োজনীয় তথ্য রাখতেও প্রতিশ্রুতিবদ্ধ সরকার। সেক্ষেত্রে কোনো সমস্যা হলে, হোয়াটসঅ্যাপের দায়িত্ব এনিয়ে টেকনিক্যাল সমাধান খুঁজে বের করার। তবে একটা বিষয় মনে রাখা দরকার, কোনো মৌলিক অধিকারই চূড়ান্ত নয়, গোপনীয়তা রক্ষার অধিকারও নয়। সব কিছুর ওপর অল্প নিয়ন্ত্রণ রাখা জরুরি।"
তবে হোয়াটসঅ্যাপের এই পদক্ষেপে খুশি নয় সরকার তা স্পষ্ট। কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে, শেষ মুহূর্তে হোয়াটসঅ্যাপ যেভাবে এই আইনের বিরুদ্ধে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে, তাতে স্পষ্ট তারা এই আইন মানতে চাইছে না। ভারতে ব্যবসা করতে এলে ভারতীয় আইন মানতে হবে। আইন না মানার অর্থ সরকারকে অবজ্ঞা করা।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন