বিরোধী দলগুলির উপর তীব্র আক্রমণ করে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ শনিবার দাবি করেন যে, রাজ্যে বিজেপি ক্ষমতায় আসার পরে কোনও দাঙ্গা হয়নি, কৃষক আত্মহত্যা বা অনাহারে মৃত্যুর ঘটনা ঘটেনি। মাইজাপুরের বলরামপুর সুগার মিলস কমপ্লেক্সের ৬৫.৬১ একর জমিতে ইথানল প্ল্যান্টের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে এসে তিনি এমন মন্তব্য করেন।
তিনি দাবি করেন, আগের সরকারগুলো রাজ্যের উন্নয়ন করেনি, বরং স্বজনপোষণে ব্যস্ত ছিল। তাঁর কথায় – “কংগ্রেসকে কে আটকেছিল? 'বাবুয়া' এবং 'বুয়া' (অখিলেশ যাদব এবং মায়াবতী) কেই বা কে বাধা দিয়েছিল? তারা কাজ করার পুরো সুযোগ পেয়েছিল। কিন্তু তাদের আমলে উন্নয়ন শুধু 'ভাই-ভাতিজাদের' (পরিবার) জন্য করা হয়েছিল।” তিনি বিরোধীদের তোপ দেগে বলেন – “এর আগে রাজ্যে দাঙ্গা ছিল, দুর্নীতি ছিল। ওদের কথায় বিভ্রান্ত হবে না। ওরা এত তাড়াতাড়ি নিজেদের বিবৃতি পরিবর্তন করে যে গিরগিটিকেও লজ্জায় ফেলতে পারে।”
যোগী এদিন অখিলেশের 'জিন্নাহ' মন্তব্যকে উল্লেখ করে আবারও খোঁচা মারেন। তিনি বলেন- “যারা পাকিস্তানের প্রতিষ্ঠাতাকে বিশ্বাস করে, তারাই তাদের শাসনকালে ‘দাঙ্গা উস্কে’ দিয়েছিল। যারা জিন্নাহর অনুসারী, তারা আখের মিষ্টি কিভাবে বুঝবে?” যোগীর আক্রমণের মূল লক্ষ্যই হল অখিলেশ যাদব। তিনি এও দাবি করেন – ভোটব্যাঙ্কের জন্য অখিলেশ যাদব অনেক ‘সন্ত্রাসীর’ বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহার করেছিলেন।
যোগী আদিত্যনাথ অভিযোগ করেছেন যে, পূর্ববর্তী সরকারগুলির সময় কৃষকরা আত্মহত্যা করতেন। তাঁদের ফসল সংগ্রহ করে রাখার কোনো ব্যবস্থা ছিল না। বর্তমানে, রাজ্যের ভাগ্য কেবল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নির্দেশনায় পরিবর্তন হয়েছে। তাঁর কথায় - “আখের মূল্য সঠিক সময়ে দেওয়া হচ্ছে। গম ও ধান সংগ্রহ কেন্দ্র স্থাপন করা হচ্ছে। আর MSP হারে সরাসরি কৃষকদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকা যাচ্ছে। ২০১৭ সালের আগে এসব হত না।”
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন