এই মুহূর্তে কোনও সার্ভে হবে না মথুরার শাহী ইদগাহ মসজিদে। এলাহাবাদ হাইকোর্টের আদেশের উপর স্থগিতাদেশ জারি করে মঙ্গলবার এই নির্দেশ দিয়েছে দেশের শীর্ষ আদালত।
গত মাসে এই মসজিদে আদালত নিযুক্ত অ্যাডভোকেট কমিশনারের দ্বারা সার্ভে করার নির্দেশ দিয়েছিল এলাহাবাদ হাইকোর্ট।
সম্প্রতি বেশ কয়েকটি হিন্দু সংগঠন দাবি করেছে, ১৭ দশকের পুরনো এই মসজিদটি ভগবান কৃষ্ণের জন্মভূমির উপর নির্মাণ করা হয়েছে। আগে এই স্থানে কাটরা কেশব দেব মন্দির ছিল। মোঘল সম্রাট আওরঙ্গজেবের নির্দেশে মন্দির ভেঙে মসজিদ নির্মাণ করা হয়েছিল। মসজিদের মাটি খুঁড়ে সার্ভে করার দাবিতে মথুরা নিম্ন আদালতে একটি পিটিশন দায়ের করেছিল হিন্দু সংগঠনগুলি। মসজিদটি ১৩.৩৭ একর জমির উপর নির্মিত। হিন্দু পক্ষ তাদের পিটিশনে এই সম্পূর্ণ জমির মালিকানা দাবি করেছিল।
আবেদনকারীরা প্রমাণ হিসেবে দাবি করেন, মসজিদের কিছু দেওয়ালে পদ্মফুলের মতো ছবি খোদাই করা আছে,যেগুলি হিন্দু পুরাণে বর্ণিত সাপের দেবতা ‘শেষনাগ’-এর প্রতিরূপ। মসজিদে কখনও এই ছবি থাকে না।
মুসলিম পক্ষ ১৯৯১ সালের উপাসনার স্থান আইনের উদ্ধৃতি তুলে এই নির্দেশ খারিজের আবেদন জানিয়েছিল। উপাসনার স্থান আইনে বলা হয়েছিল ১৯৪৭ সালের ১৫ আগস্ট থেকে যেখানে যে উপাসনার স্থল নির্ধারিত আছে তাই থাকবে, তা পরিবর্তন করা হবে না। কিন্তু মথুরা আদালত হিন্দু পক্ষের আবেদনে সম্মতি দিয়েছিল।
মথুরা আদালতের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে এলাহাবাদ হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল মুসলিম পক্ষ। কিন্তু সেখানেও মসজিদে সার্ভে করার অনুমতি দেওয়া হয়। কিন্তু মঙ্গলবার শীর্ষ আদালত এই নির্দেশের উপর স্থগিতাদেশ দিল।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন