করোনার ভ্যাকসিন বাবদ কেন্দ্রে যে অর্থ বরাদ্দ করেছিল, তার তিনভাগের একভাগও খরচ হয়নি। যা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে, সেসব সরবরাহ করা হয়নি। শুক্রবার লোকসভায় স্বাস্থ্য দফতরের রাষ্ট্রমন্ত্রী ভারতী প্রবীণ পাওয়ারের দেওয়া তথ্যে এমন চিত্র উঠে এসেছে।
গোটা দেশজুড়ে ভ্যাকসিন নিয়ে হাহাকার চলছে।
সাংসদ এস জোথিমণির প্রশ্ন ছিল, ভ্যাকসিন বাবদ কত বরাদ্দ ছিল আর কত টাকা খরচ হয়েছে। তার জবাবে মন্ত্রী জানান, বাজেটে একুশে জুলাই পর্যন্ত ভ্যাকসিনের খরচ বাবদ অর্থ বরাদ্দ হয়েছে ৩৫ হাজার কোটি টাকা। তা থেকে ভ্যাকসিন কিনতে খরচ হয়েছে ৮ হাজার ৭১ কোটি টাকা। মোট সাতদফা ভ্যাকসিন কিনতে বরাত দেওয়া হয়েছে। এদিকে শেষ দফার বরাদ দেওয়া হয়েছে গত ১৭ জুলাই। ষষ্ঠ দফা বরাতের সব ডোজ এখনও সরবরাহ হয়নি।
সিপিএম নেতা সীতারাম ইয়েচুরির প্রশ্ন, বরাদ্দের তিন ভাগের এক ভাগও খরচ হয়নি ভ্যাকসিনেশনে। তাহলে বাকি টাকা কোথায় গেল? উল্লেখ্য, গত ১৬ জানুয়ারি থেকে সাত দফার ভ্যাকসিনের বরাত দেওয়া হয়েছে। দফায় দফায় তা সরবরাহ হয়েছে। ভারত সরকার এইচএলএল লাইভ কেয়ার এজেন্সি মারফত ভারত বায়োটেক এবং সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে কোভ্যাকসিন ও কোভিশিল্ড কিনেছে। কিন্তু ওই এজেন্সির সঙ্গে এপ্রিল-জুন মাসে ভ্যাকসিন সরবরাহ নিয়ে নতুন কোন বরাতের জন্য চিঠিপত্র লেনদেন হয়নি।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী লিখিত জবাবে জানিয়েছেন, দেশে ১৮ বছর থেকে কবে সবার ভ্যাকসিন দেওয়ার কাজ শেষ হবে, তার জন্য নির্দিষ্ট কোনও সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়নি। তবে আশা করা যাচ্ছে, আগামী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যেই তা শেষ হয়ে যাবে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন