হিজাব নিয়ে বিতর্কে ইতিমধ্যে শোরগোল পরে গিয়েছে গোটা দেশেই। এখনও সেই বিতর্কের রেশ কাটেনি। তারই মাঝে ঘি ঢাললেন কর্নাটকের গ্রামীণ উন্নয়ন ও পঞ্চায়েত মন্ত্রী কে এস ঈশ্বরাপ্পা। এদিন তিনি বলেন, ভবিষ্যতে হয়তো গেরুয়া পতাকাই দেশের জাতীয় পতাকা হয়ে যাবে।
উল্লেখ্য, বিজেপি শাসিত কর্ণাটকের একটি কলেজে হিজাব নিষিদ্ধ করা হয়। তা নিয়ে গত একমাস ধরে বিতর্ক চলছে। একদিন আগে একদল পড়ুয়াকে কলেজে হিজাব পরার বিরোধিতা করে ফ্ল্যাগপোস্টে গেরুয়া পতাকা লাগাতে দেখা যায়। সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই ঘটনার ভিডিও ভাইরাল হয়। আর এরই মধ্যে বিজেপি মন্ত্রীর মন্তব্য বিতর্ক উস্কে দিল।
পাশাপাশি তিনি অবশ্য এও বলেন, দেশের পতাকা তেরঙ্গা। তাই এখন দেশের জাতীয় পতাকার সম্মান করা উচিত সবার। রামায়ণ টেনে বলেন, ‘শত শত বছর আগে শ্রী রামচন্দ্র ও মারুতির রথের গায়ে গেরুয়া পতাকা থাকত। তখন কি আমাদের দেশে তেরঙা পতাকা ছিল? এখন তেরঙা আমাদের জাতীয় পতাকা। যাঁরা এই দেশের খাবার খায়, তাঁদের সবাইকে এটার সম্মান করতে হবে।’ একইসঙ্গে ভবিষ্যদ্বাণী করে তিনি বলেন, ‘এখন না হলেও ভবিষ্যতে লাল কেল্লায় গেরুয়া পতাকা উত্তোলন করা হতেই পারে।’
মন্ত্রী এদিন বলেন, ‘দেশে হিন্দুবিচার ও হিন্দুত্ব নিয়ে আলোচনা চলছে। আগে আমরা বলতাম অযোধ্যায় রামমন্দির তৈরি হবে, তখন লোকে হাসতো। একইভাবে ভবিষ্যতে কখনও ১০০-২০০ বা ৫০০ বছর পর গেরুয়াই আমাদের জাতীয় পতাকা হয়ে উঠতে পারে।’
উল্লেখ্য, কর্নাটকের শিবমোগ্গায় একটি সরকারি কলেজের কয়েকজন পড়ুয়া জাতীয় পতাকা নামিয়ে গেরুয়া পতাকা উত্তোলন করে। প্রতিবাদ জানান কর্ণাটক কংগ্রেসের সভাপতি ডিকে শিবকুমার। তাঁর অভিযোগের প্রেক্ষিতে কর্ণাটকের মন্ত্রী এই জবাব দেন। ঈশ্বরাপ্পার দাবি, হিন্দু ও মুসলিমদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টির চেষ্টা চলছে। তাঁর কথায়, ‘ডিকে শিবকুমার একজন মিথ্যাবাদী।' জাতীয় পতাকা নামানো হয়নি বলে দাবি তাঁর।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন