উত্তরাখণ্ডের তপোবন-বিষ্ণুগড় জলপ্রকল্পে কাজ করতে গিয়ে হড়পা বানে মৃত শ্রমিকদের প্রত্যেকের পরিবারকে ২০ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেবে এনটিপিসি। টানেলে ভিতর থেকে একে একে মৃতদেহ বের করে আনা হচ্ছে। শ্রমিকের পরিবারের সদস্যরা তাও আশায় বুক বেঁধে টানেলে দিকে তাকিয়ে বসে রয়েছেন নিখোঁজ সদস্যদের দেখার জন্য। মৃত শ্রমিকদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে সব তথ্য নিয়েই ক্ষতিপূরণের তালিকা তৈরি করা হচ্ছে বলে এনটিপিসির মুখপাত্র আরপি জয়াদা জানিয়েছেন।
এনটিপিসির পাশাপাশি মৃত শ্রমিকদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে রাজ্য সরকার ও কেন্দ্র সরকারও। যথাক্রমে ৪ লাখ ও ২ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে তপোবন টানেলে কাজ করতে যাওয়া মৃত শ্রমিকদের পরিবারের সদস্যদের। সোমবারই এনটিপিসির তরফে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার পদ্ধতি শুরু করেছে।
এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, তপোবন প্রকল্পে কাজ করতে থাকা মৃত শ্রমিকদের পরিবারগুলোকে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ক্ষতিপূরণ দিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এর পাশাপাশি পিএফ ও অন্যান্য বিষয়গুলো ক্ষতিপূরণের সঙ্গে সঙ্গে যাতে মিটিয়ে দেওয়া যায়, সেদিকেও লক্ষ্য রাখা হচ্ছে।
দুর্ঘটনার পর নবম দিনে এখনও উদ্ধারকার্য চলছে। এদিন উদ্ধার হয়েছে আরও ৪টি মৃতদেহ। যারমধ্যে ৩টি উদ্ধার হয়েছে তপোবন থেকে এবং ১টি দেহ উদ্ধার হয়েছে মইথানা থেকে। এছাড়াও বিভিন্ন জায়গা থেকে ২৪টি দেহাংশ উদ্ধার করেছে উদ্ধারকারী দল। এই নিয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৮। এখনও পর্যন্ত ৩০টি দেহকে শনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে বলে প্রশাসনিক সূত্রে জানা গেছে। যোশীমঠ, রাইনি এবং তপোবন এলাকায় প্রশাসনিক উদ্যোগে উদ্ধারকাজ চালানো হচ্ছে। যোশীমঠ পুলিশ থানায় মোট ১৭৯ জনের নিখোঁজ ডায়েরি করা হয়েছে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন