দেশের ৪৮ তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে শপথ নিলেন এন ভি রামানা

প্রায় ৪ দশকের কর্মজীবনে তিনি অন্ধ্রপ্রদেশ হাইকোর্ট, কেন্দ্রীয় ও অন্ধ্রপ্রদেশ প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনাল, সুপ্রিম কোর্টে দেওয়ানি, ফৌজদারি, সাংবিধানিক, শ্রম, সেবা ও নির্বাচন সংক্রান্ত বিষয়ে মামলা লড়েছেন
প্রধান বিচারপতি এন ভি রামানা
প্রধান বিচারপতি এন ভি রামানাফাইল ছবি সংগৃহীত
Published on

আজ সকালে বিচারপতি এনভি রামানা ভারতের ৪৮তম প্রধান বিচারপতি হিসাবে শপথ গ্রহণ করলেন। কোভিড বিধিনিষেধের দরুন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ একটি ছোট অনুষ্ঠানে দিল্লির রাষ্ট্রপতি ভবনে তাঁকে শপথ পাঠ করান।

গতকাল প্রধান বিচারপতি হিসাবে অবসর নেন বিচারপতি এসএ বোবদে। তাঁর বিদায় সম্বর্ধনায় বিচারপতি রামানা বলেন, 'অনেক আইনজীবী, বিচারক এবং আদালতের কর্মীরা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এই সংক্রমণের ধারা ভেঙে দেওয়ার জন্য কিছু কড়া পদক্ষেপ দরকার। আমরা একজোট হয়েই মহামারীকে রুখে দিতে পারি।'

এই মুহূর্তে সুপ্রিম কোর্টে প্রধান বিচারপতি সহ মোট বিচারপতির সংখ্যা ২৮। দেশের বিভিন্ন হাইকোর্টে শূন্য আছে ৪১১ পদ। সুপ্রিম কোর্টে খালি আছে ৬ বিচারপতির পদ। এইসব শূন্য পদ পূরণ করা নবনিযুক্ত প্রধান বিচারপতির কাছে বড়ো চ্যালেঞ্জ। বিচারপতি বোবডের আমলে শীর্ষ আদালতে একজনও বিচারক নিযুক্ত হননি।

১৯৫৭ সালে অন্ধপ্রদেশের এক কৃষক পরিবারে জন্ম রামানার। ২০২২ সালের ২৬ আগস্ট পর্যন্ত তিনি প্রধান বিচারপতি থাকবেন। অন্ধ্রপ্রদেশ থেকে তিনি দ্বিতীয় ব্যক্তি, যিনি ভারতের প্রধান বিচারপতি হলেন।

২০০০ সালে অন্ধ্রপ্রদেশ হাইকোর্টের বিচারপতি হিসেবে বিচারপতি রামানা কর্মজীবন শুরু করেন। তাঁর কর্মজীবনে বিচারপতি রামানার বিরুদ্ধে বেশ কিছু অভিযোগও উঠেছে। ২০২০ সালের অক্টোবর মাসে অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী অভিযোগ আনেন হাইকোর্ট চেষ্টা করছে রাজ্যের নির্বাচিত সরকার ফেলতে। ওই চিঠিতে অভিযোগ জানানো হয়েছিলো বিচারপতি রামানার বিরুদ্ধে।

প্রসঙ্গত, জম্মু ও কাশ্মীরে ইন্টারনেট স্থগিতের বিষয়টি অবিলম্বে পর্যালোচনা করা উচিত। এই রায় দেওয়া বেঞ্চের সদস্য ছিলেন বিচারপতি রামানা। কর্ণাটকে ১৭ জন কংগ্রেস জেডিএস বিদ্রোহী বিধায়কের দল ছাড়ার পর আইনি প্রশ্ন তুলে যে মামলা হয়েছিলো সেই মামলায় তিন বিচারপতির বেঞ্চের অন্যতম বিচারপতি ছিলেন বিচারপতি রামানা।

প্রায় চার দশকের কর্মজীবনে বিচারপতি রামানা অন্ধ্রপ্রদেশের হাইকোর্ট, কেন্দ্রীয় ও অন্ধ্রপ্রদেশ প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনাল এবং ভারতের সুপ্রিম কোর্টে দেওয়ানি, ফৌজদারি, সাংবিধানিক, শ্রম, সেবা ও নির্বাচন সংক্রান্ত বিষয়ে মামলা লড়েছেন। ২০১৩ সালে তিনি দিল্লি হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি এবং ২০১৪ সালে শীর্ষ আদালতে বিচারক হন।

স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in