ওড়িশাতে বিজেডির এক রাজ্যসভা সাংসদ দলবদল করে বিজেপিতে যোগ দেবার পরেই কার্যত বিজেডিকে সতর্ক করলো কংগ্রেস। গত সপ্তাহে বিজেডি থেকে এবং রাজ্যসভা সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দেন দলের প্রবীণ নেত্রী মমতা মোহান্ত। এর পরের দিন বৃহস্পতিবারেই তিনি যোগ দেন বিজেপিতে। এরপরেই বিজেপির উদ্দেশ্যে আক্রমণের রাস্তায় হাঁটে কংগ্রেস। পাশাপাশি বিজেডির উদ্দেশ্যেও সমালোচনা করতে ছাড়েননি বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা ও দলের যোগাযোগ বিষয়ক সাধারণ সম্পাদক জয়রাম রমেশ।
নিজের এক্স হ্যান্ডেলে (পূর্বতন ট্যুইটার) এক বিবৃতিতে রমেশ বলেন, এবার এক আঞ্চলিক দলের প্রতি বিজেপির মনোভাব আরও স্পষ্ট হল। বিজেডির এক রাজ্যসভা সাংসদকে বিজেপি দলত্যাগ করালো এবং বিজেপিতে নিল। এবার এই আসন বিজেপির হয়ে যাবে।
রমেশ আরও বলেন, কুড়ি বছরের বেশি সময় ধরে বিজেডি এবং বিজেপি একই মুদ্রার দুই পিঠ হিসেবে কাজ করে গেছে। এমনকি বিজেপি নেতা অশ্বিনী বৈষ্ণবকে পরপর দু’বার রাজ্যসভায় জিততেও সাহায্য করেছে বিজেডি।
ওড়িশার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে এরপর রমেশ বলেন, বেচারা নবীন বাবু এবার ভাবতে শুরু করুন এরপর কে?
প্রসঙ্গত বিজেডি এবং সাংসদ পদ থেকে ইস্তফার একদিন পরেই বৃহস্পতিবার বিজেপিতে যোগ দেন বিজেডি নেত্রী মমতা মোহান্ত। দলের সদর দপ্তরে একাধিক কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের উপস্থিতিতে তিনি বিজেপিতে যোগ দেন। ওই অনুষ্ঠানে বেশ কিছু বিজেপি বিধায়কও উপস্থিত ছিলেন।
মমতা মোহান্তির ইস্তফায় রাজ্যসভায় বিজেডির সাংসদ সংখ্যা কমে দাঁড়ালো ৮। বর্তমান লোকসভাতেও বিজেডির কোনও সাংসদ নেই। ওড়িশা থেকে রাজ্যসভা আসনের সংখ্যা ১০টি।
ওড়িশার সদ্যসমাপ্ত বিধানসভা নির্বাচনে ১৪৭ আসনের মধ্যে বিজেপি জয়ী হয়েছে ৭৮ আসনে, বিজেডি ৫১ আসনে এবং কংগ্রেস ১৪ আসনে। এবারের নির্বাচনেই দীর্ঘ ২৪ বছর পর ক্ষমতাচ্যুত হয়েছে একসময়ের বিজেপির জোটসঙ্গী এবং এনডিএ-র গুরুত্বপূর্ণ শরিক নবীন পট্টনায়েকের বিজু জনতা দল বা বিজেডি।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন