ওড়িশার শাসক দল বিজেডির প্রেসিডেন্ট নবীন পটনায়েকের মাস্টারস্ট্রোক। আসন্ন ত্রিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচনে অন্যান্য পিছিয়ে পড়া জনজাতির (OBC) ২৭% প্রার্থী দেবে বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সাংবাদিক সম্মেলন করে এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন রাজ্যের কৃষি ও কৃষক উন্নয়ন দপ্তরের মন্ত্রী অরুণ কুমার সাহু এবং কো-অপারেশন মন্ত্রী আর এন সাঁই।
“বিজেডি প্রেসিডেন্ট নবীন পটনায়েক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে ২৭ শতাংশ ওবিসি প্রার্থী দেবে বিজেডি” – মন্ত্রী অরুণ কুমার সাহু সাংবাদিক সম্মেলন করে অন্যান্য রাজনৈতিক দলের কাছেও এই নীতি অনুসরণ করার আবেদন জানান।
বিজেপি সাংসদের প্রতিনিধি দল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন এবং একটি স্মারকলিপি দিয়ে ওবিসি সংরক্ষণ বাড়ানোর জন্য আবেদনও করেছেন। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে বিজেডির এই পদক্ষেপে রাজ্যের বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি যথেষ্ট চাপে পড়ল।
অরুণ কুমার সাহু সাংবাদিকদের বলেন - কেন্দ্র শিক্ষা ও কর্মসংস্থানে ওবিসি সংরক্ষণ বৃদ্ধি করতে ব্যর্থ কারণ আদালতের ৫০% সংরক্ষণের ঊর্ধ্বসীমা সংক্রান্ত নির্দেশের জন্য, তাই আমরা ঠিক করেছি - আমাদের পার্টিতেই ওবিসি সংরক্ষণ নীতি কার্যকর করা হবে। তিনি আরও বলেন - ‘আমরা শিক্ষা ও কর্মসংস্থানে ২৭% ওবিসি সংরক্ষণ দাবি করছি নির্বাচনের অনেক আগে থেকেই’।
তিনি দাবি করেন - দেশে কত শতাংশ ওবিসি আছে তা .দীর্ঘদিন জনগননা না হওয়ার কারণে বোঝা যাচ্ছে না, তাই সেই অনুযায়ী সংরক্ষণ নীতি সঠিকভাবে প্রয়োগ করা যাচ্ছে না।
সাহু পার্লামেন্টে মহিলা সংরক্ষণের বিষয়েও সরব হয়েছেন। তিনি বলেন- “ যদিও মহিলা সংরক্ষণ নিয়ে কোথাও সেভাবে আইন নেই, তবুও বিজেডি ২০১৯ এর লোকসভা নির্বাচনে ৩৩% মহিলা প্রার্থী দিয়েছিল”।
যদিও রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল বিজেপি এই সিদ্ধান্তকে ভোটব্যাঙ্ক রাজনীতির সাথে তুলনা করেছে। বিজেপি নেতা পৃথ্বীরাজ হরিচন্দন বলেন - “রাজ্যের শিক্ষা ও কর্মসংস্থান ক্ষেত্রে শাসক দল ওবিসিদের সংরক্ষিত করছে না কেন? কে বাধা দিয়েছে ? নির্বাচন সামনে তাই ভোটব্যাঙ্কের রাজনীতি করছে। বিজেডির ২১ বছরের রাজত্বে রাজ্যে সবচেয়ে বেশি অবহেলিত হয়েছেন ওবিসিরাই”।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন