ঘৃণা ভাষণ রুখতে কড়া পদক্ষেপ নিল দেশের শীর্ষ আদালত। রাম মন্দির উদ্বোধনের আগে ও পরে মন্দির উদ্বোধনকে কেন্দ্র করে একাধিক প্রচারাভিযান চালাবে হিন্দু জাগরুক সমিতি। ওই প্রচারাভিযান থেকে যাতে কোনও উস্কানিমূলক মন্তব্য বা ঘৃণা সূচক মন্তব্য না করা হয় তার জন্য সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন এক সাংবাদিক।
আগামী ২২ জানুয়ারি রাম মন্দির উদ্বোধন হবে। আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে যাকে পাখির চোখ করে নির্বাচনী প্রচারে নামতে চলেছে বিজেপি। তবে তার আগে মন্দির উদ্বোধন নিয়ে ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে একাধিক পদযাত্রা, সভা অথবা প্রচারাভিযান কর্মসূচি গ্রহণ করেছে ধর্মীয় সংগঠনগুলি। যার মধ্যে অন্যতম হল হিন্দু জাগরুক সমিতি। মহারাষ্ট্র ও ছত্তিশগড়ের রায়পুরে সভা করবে এই সমিতি। ওই সভাগুলিতে বক্তব্য রাখতে পারেন তেলেঙ্গানার বিতর্কিত বিজেপি বিধায়ক টি রাজা সিং। মামলাকারী সাংবাদিক শাহিন আবদুল্লাহের অভিযোগ, ওই সংগঠন ও বিধায়ক আগে বহুবার উস্কানিমূলক বক্তব্য দিয়ে সাম্প্রয়দায়িক সম্প্রীতি বিঘ্নিত করেছে। পুনরায় যেন সেই ঘটনা না ঘটে।
ওই সাংবাদিক আরও অভিযোগ করেন, হিন্দু জাগরুক সমিতি প্রকাশ্যেই ঘৃণা ভাষণ দিয়ে থাকে। যার কারণে সমাজে হিন্দু-মুসলমানের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হতে পারে। গত বছরও সোলাপুরে এই সমিতির বক্তব্যে সাম্প্রদায়িক অশান্তি ছড়িয়েছিল।
মামলাকারীর আইনজীবী কপিল সিব্বল সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত ও বিচারপতি সঞ্জীব খান্নার বেঞ্চে জানান, বিজেপি বিধায়ক টি রাজা সিং আগেও বহুবার ঘৃণাসূচক বক্তব্য রেখেছেন। এবারও রাখতে পারেন। যার জেরে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট হতে পারে।
শীর্ষ আদালত নির্দেশ দেয়, এখনই ওই মিছিলের ওপর স্থগিতাদেশ দেওয়া হবে না। কারণ মামলাকারী শুধু আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন।
বিচারপতিরা আরও জানান, মিছিলের ওপর স্থগিতাদেশ না দিলেও সভাস্থলে সিসিটিভি ক্যামেরা বসাতে হবে। পুলিশ প্রশাসনকে বাড়তি দায়িত্ব নিতে হবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য। ওই সভার সমস্ত বক্তব্য রেকর্ড করতে হবে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন