গত ১৩ ডিসেম্বর সংসদের নতুন ভবনে শীতকালীন অধিবেশন চলাকালীন আচমকাই লোকসভার দর্শকাসন থেকে দুই যুবক অধিবেশন কক্ষে ঝাঁপ দেন এবং ক্যানিস্টার থেকে হলুদ ধোঁয়া স্প্রে করতে শুরু করেন। ওই ঘটনায় গ্রেফতার করা হল আরও এক যুবককে। এই নিয়ে এই হামলায় গ্রেফতার করা হল ৬ জনকে।
শনিবার মহেশ কুমাওয়াতকে গ্রেফতার করেছে দিল্লি পুলিশ। হামলা ঘটনার মাস্টারমাইন্ড ললিত ঝাকে ঘটনার পর পালাতে সাহায্য করার জন্য মহেশকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। পুলিশ সূত্রে খবর, প্রমাণ লোপাটের জন্য ললিত ঝা হামলাকারীদের ফোন পুড়িয়ে দিয়েছিলেন। সেই পুড়ে যাওয়া ফোনগুলি উদ্ধার করেছে পুলিশ। সেখান থেকেই মহেশের হদিশ মিলেছে দিল্লি পুলিশের।
উল্লেখ্য, গত ১৩ ডিসেম্বর দুপুর ১ টার সময় মনোরঞ্জন ডি এবং তাঁর সহযোগী সাগর শর্মা দর্শকদের গ্যালারি থেকে লোকসভার কক্ষে ঝাঁপ দেন। সেই সময় বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু বক্তৃতা দিতে শুরু করেছিলেন। ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, সাগর ডেস্কের উপর লাফিয়ে লাফিয়ে স্পিকারের চেয়ারের দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন। এবং মনোরঞ্জন একটি ক্যানিস্টার থেকে হলুদ ধোঁয়া স্প্রে করছেন।
আচমকা এই ঘটনায় হুলুস্থুল পড়ে যায় সংসদ কক্ষে। রীতিমত অবাক হয়ে যান সাংসদরা। কারণ কোনও সাধারণ মানুষকে মূল অধিবেশন কক্ষে পৌঁছাতে গেলে পাঁচ স্তরের নিরাপত্তা বলয় অতিক্রম করতে হয় এবং অবশ্যই কোনও সাংসদের স্বাক্ষর করা পাস থাকতে হয় দর্শনার্থীদের কাছে।
ওই দুই যুবকের পাশাপাশি অমল শিন্ডে এবং নীলম দেবী নামের একজন পুরুষ এবং একজন মহিলাকেও সংসদের বাইরে রঙিন ধোঁয়ার ক্যানিস্টারসহ আটক করে পুলিশ। তাঁরা বাইরে স্লোগান দিচ্ছিলেন।
এই চারজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে বুধবার রাতেই হরিয়ানার গুরুগ্রাম থেকে পঞ্চম অভিযুক্ত বিশাল শর্মাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
এই ঘটনার মাস্টারমাইন্ড ললিত ঝা বৃহস্পতিবার রাতে আত্মসমর্পণ করেন।
সূত্র অনুসারে, সোশ্যাল মিডিয়া মারফত পরিচয় হয়েছে এই ছ’জনের। ইতিমধ্যেই অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ইউএপিএ বা বেআইনি কার্যকলাপ প্রতিরোধ আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে। শুক্রবার ললিত ঝাকে দিল্লির পাতিয়ালি হাউজ কোর্ট সাতদিনের জেল হেফাজত দিয়েছে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন