২০১৪ সাল থেকে ৯ রাজ্যের মাত্র ৫০ শতাংশ কৃষকের কৃষি ঋণ মকুব হয়েছে। সম্প্রতি, স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া (SBI) একটি সমীক্ষা প্রকাশ করেছে। তাতেই উঠে এসেছে এই তথ্য।
সমীক্ষায় জানা গেছে, ২০১৪ সালের এপ্রিল মাস থেকে ২০২২ সালের মার্চ পর্যন্ত ঘোষিত ঋণ মকুব প্রকল্পের সুবিধা পেয়েছেন বহু কৃষক। তবে সবচেয়ে খারাপ অবস্থা তেলেঙ্গানার (Telangana)। কে চন্দশেখর রাও সরকারের জমানায় মাত্র ৫ শতাংশ কৃষকের কৃষি ঋণ মকুব হয়েছে। এ রাজ্যে মোট যোগ্য কৃষকের সংখ্যা ৫১ লক্ষ। তারমধ্যে মাত্র ৫ শতাংশ কৃষক ১৭ হাজার কোটি টাকা কৃষি ঋণে ছাড় পেয়েছেন।
এরপরে রয়েছে বিজেপি শাসিত মধ্যপ্রদেশ (Madhya Pradesh)। শিবরাজ সিং চৌহান সরকারের আমলে মাত্র ১২ শতাংশ কৃষকের কৃষি ঋণ মকুব হয়েছে। এ রাজ্যে মোট যোগ্য কৃষকের সংখ্যা মোট ৪৮ লক্ষ। এরমধ্যে মাত্র ১২ শতাংশ কৃষক ১৭ হাজার কোটি টাকা কৃষি ঋণে ছাড় পেয়েছেন।
মধ্যপ্রদেশের পরে রয়েছে ঝাড়খণ্ড। হেমন্ত সোরেন সরকারে মোট ৯ লক্ষ যোগ্য কৃষকের মধ্যে ১৩ শতাংশের কৃষি ঋণ মকুব হয়েছে।
পাঞ্জাবেও মোট ৮ লক্ষ যোগ্য কৃষকের মধ্যে ২৪ শতাংশের কৃষি ঋণ মকুব হয়েছে। কর্ণাটকে এই সংখ্যা ৩৮ শতাংশ এবং উত্তর প্রদেশে ৫২ শতাংশ দাঁড়িয়েছে।
অন্যদিকে, ২০১৮ সালে ছত্তিশগড় এবং ২০২০ সালে মহারাষ্ট্রের কৃষকেরা সবথেকে বেশি ঋণ মকুবের সুবিধা পেয়েছেন।
সমীক্ষা রিপোর্টে বলা হয়েছে, পিএম কিষান (PM- KISA) এবং কৃষাণ ক্রেডিট কার্ড (KCC)-এর সুবিধাভোগীদের তথ্য বিশ্লেষণ করে জানা গেছে, দেশে প্রায় ২-৩ কোটি ভূমিহীন কৃষক রয়েছেন। এঁরা অন্যের জমিতে চাষ-আবাদ করেন।
সমীক্ষায় বলা হয়েছে,‘পিএম কিষান (PM- KISA) সুবিধাভোগীর মোট সংখ্যা ১১ কোটি ৭৮ লক্ষ। আর কৃষাণ ক্রেডিট কার্ড (KCC)-এর সুবিধা পান ৭ কোটি ৪০ লক্ষ কৃষক। বাকি ৪ কোটির মধ্যে কমপক্ষে ২-৩ কোটি ভূমিহীন কৃষক রয়েছেন।’
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন